একই সময়ে গুঞ্জন চলছে স্টার্কের সতীর্থ জস হ্যাজেলউডকে নিয়েও। তিনিও নাকি টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। তবে এমন উঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন হ্যাজেলউড। অন্তত আরও দুই বছর এই ফরম্যাটে খেলার ইচ্ছা রয়েছে। শুধু অ্যাশেজই নয় লাল বলের আসন্ন সবগুলো সিরিজ নিয়েই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন হ্যাজেলউড।
সম্প্রতি এসইএন রেডিওকে হ্যাজেলউড বলেছেন, 'আমি মনে করি না আমরা এখনই কিছু বলার অবস্থায় আছি। তবে হয়তো শেষে বসে একবার ভেবে দেখা যেতে পারে। আমি মনে করি সবাই এখনো টেস্ট ক্রিকেট ফরম্যাটটা খুব ভালোবাসে।'
অস্ট্রেলিয়ার ব্যস্ত সূচির কথা মনে করিয়ে দিয়ে হ্যাজেলউড আরও বলেন, 'আগামী দুই বছরে অনেকগুলো টেস্ট আসছে। আরও একটি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সাইকেল আছে। তাই কেবল অ্যাশেজ নয়, টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে অনেক উত্তেজনাপূর্ণ বিষয় রয়েছে।'
যাই হোক না কেন ধারণা করা হচ্ছে আসন্ন অ্যাশেজেই শেষ হতে যাচ্ছে প্যাট কামিন্স, স্টার্ক ও হ্যাজেলউড জুটির। তিনজনেরই এখন বয়স মাঝ-ত্রিশে, কামিন্স ভুগছেন কোমরের হাড়ের স্ট্রেস ইনজুরিতে, আর স্টার্ক ধকল সামলাতে নিয়েছেন এক ফরম্যাট থেকে অবসর।
হ্যাজেলউড মনে করেন তারা ভবিষ্যতে না থাকলেও সঠিক কক্ষপথেই আছে অস্ট্রেলিয়া। বিশেষ করে শেফিল্ড শিল্ডের প্রতিটি দলেই মানসম্পন্ন পেসার আছে বলে ধারণা তার। তরুণরা সুযোগ পেলে নিজেদের প্রমাণ করতে পারবেন বলেও আশাবাদী অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা পেসার।
তিনি বলেন, 'আমি এখনই কারও নাম নিতে চাই না, তবে গত কয়েক বছরে সাদা বলের ক্রিকেট থেকে অনেক নতুন বোলার উঠে এসেছে। প্রতিটি রাজ্যে ভালো শিল্ড বোলার আছে, আর টেস্ট ক্রিকেটে সুযোগ পেলেই তারা নিজেদের প্রমাণ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। অস্ট্রেলিয়ায় ফাস্ট বোলারের কখনোই ঘাটতি নেই।'