‘ক্রিকেটাররা ভুল করলে শাস্তি হয় কিন্তু আম্পায়ারদের কিছুই হয় না’

ছবি: ওয়েস্টারের বিপক্ষে আলজারি জোসেফের লেগ বিফোর উইকেটের আবেদন

বার্বাডোজ টেস্টের দ্বিতীয় দিন থেকেই আলোচনার শীর্ষে টিভি আম্পায়ারিং। চেজ এবং শাই হোপের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ঘটনাটা ঘটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসের ৫০তম ওভারে। প্যাট কামিন্সের দারুণ এক ডেলিভারিতে চেজকে লেগ বিফোর উইকেট দেন কেটেলবরো। তবে বল ব্যাটে লেগেছে এমন ভাবনা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে রিভিউ নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক। টিভি আম্পায়ার হোল্ডস্টক জানান, ব্যাট ও বলের মাঝে ফাঁকা আছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের নতুন টেস্ট অধিনায়ক চেজ
১৬ মে ২৫
আলস্ট্রা এজে বড় কোন স্পাইক না পাওয়া গেলেও ছোট দুটি স্পাইক দেখা যায়। তাতেই চেজ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের দাবি বল ব্যাটে লেগেছে। একটু পর বাউ ওয়েবস্টারের ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটের কানায় লেগে পেছনে গেলে দারুণ এক ক্যাচ লুফে নেন অ্যালেক্স ক্যারি। ক্যাচ ধরে মাটিতে পড়ার সময় বল ঘাস ছুঁয়ে কিনা এমন প্রশ্ন তোলা হয়। যদিও হোপকে আউট দেন হোল্ডস্টক। এমন সিদ্ধান্তের পর ড্রেসিংরুমে বসেই হতাশা প্রকাশ করেন স্যামি। ম্যাচ শেষে আম্পায়ারিং নিয়ে কথা বলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কও।

এ প্রসঙ্গে চেজ বলেন, ‘ম্যাচ অফিসিয়ালদের নিয়ে বললে: হ্যাঁ, এটা হতাশাজনক, কারণ খেলোয়াড় হিসেবে যখন আমরা ভুল করি, যখন আমরা সীমা ছাড়িয়ে যাই, তখন আমাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। কখনও কখনও নিষিদ্ধও করা হয়। আর্থিক জরিমানা বা অন্য কিছুও হতে পারে। কিন্তু ম্যাচ অফিসিয়ালদের? তাদের কখনও কিছুই হয় না।’
গ্রেনাডায় ফিরতে পারেন স্মিথ
৭ ঘন্টা আগে
‘তাদের কেবল একটি ভুল সিদ্ধান্ত বা প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত হয়েই রয়ে যায় এবং সবকিছু চলতে থাকে। ছেলেদের ক্যারিয়ারের কথা বললে, একটি খারাপ সিদ্ধান্ত একজনের ক্যারিয়ার গড়তে বা ভেঙে দিতে পারে। তাই আমি মনে করি, সবার ক্ষেত্রে সমান হওয়া উচিত। কারও বিপক্ষে খারাপ সিদ্ধান্ত গেলে, কিছু শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।’
চেজের অভিযোগ অবশ্য পুরোপুরি সত্য নয়। কারণ বছর শেষে অবশ্য আম্পায়ারদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে আইসিসি। যার ভিত্তিতে এলিট আম্পায়ারদের তালিকাও করা হয়। এদিকে স্যামির সঙ্গে সুর মিলিয়ে মিচেল স্টার্কও জানিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গেছে। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও একটি সিদ্ধান্ত গেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কামিন্স অবশ্য, আম্পায়ারিং নিয়ে কোন অভিযোগ করেননি।
সেই সঙ্গে তিনি এও জানান, আউট সম্ভাবনা থাকলেই তারা আবেদন করেন এবং বাকিটা আম্পায়ারদের ওপর ছেড়ে দেন। প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে আম্পায়ারিং নিয়ে কামিন্স বলেন, ‘আমাদের যদি মনে হয়, (আউটের) সম্ভাবনা আছে, তাহলে আমরা আবেদন করি, ডিআরএস ব্যবহার করি এবং বাকিটা আম্পায়ারদের ওপর ছেড়ে দেই।’