শান্ত, মুশফিক, মিজানুর- সবার প্রতি আলাদাভাবে কৃতজ্ঞ তামিম
![বিপিএলের শিরোপা জেতার পর ফরচুন বরিশালের ক্রিকেটাররা, ক্রিকফ্রেঞ্জি](https://cricfrenzy.com/public/storage/images/2-2025/Q8J3dDH4dK9b5dc0uf1b0n7v.jpg)
ছবি: বিপিএলের শিরোপা জেতার পর ফরচুন বরিশালের ক্রিকেটাররা, ক্রিকফ্রেঞ্জি
![promotional_ad](https://cricfrenzy.com/public/storage//advertisements/c8243538-ac32-4fc4-871e-77acc1257b54.jpg)
শিরোপা জয়ের পর সেটি যুব এবং ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছ থেকে গ্রহণ করার সময় নিজের আগে তাওহীদ হৃদয়, নাজমুল হোসেন শান্ত এবং রিশাদ হোসেনকে সামনে পাঠান তামিম। এই শিরোপাটি হৃদয়-শান্তদের 'প্রথম' হওয়ার কারণেই এমনটা করেন তিনি।
‘এতো মানুষ জীবনেও দেখিনি’, তামিমের দুঃখপ্রকাশ
৯ ফেব্রুয়ারি ২৫![বরিশাল দলের ট্রফি ট্যুর, ফরচুন বরিশাল](https://cricfrenzy.com/public/storage/images/2-2025/3iaf1Df6bq50fa2L2a3a14ed.png)
এবারের বিপিএলে মোটে পাঁচটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন শান্ত। অফফর্ম কাটিয়ে এখনও ছন্দে ফিরতে পারেননি তিনি। ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলা পাঁচটি ইনিংসের মধ্যে চারটিতেই এক অঙ্কে আউট হয়েছেন শান্ত, এর মধ্যে আছে একটি শূন্য রানও।
অবশিষ্ট ইনিংসে ৪১ রান আসে তার ব্যাটে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলেন শান্ত। একাদশে সুযোগ না পাওয়ায় খারাপ লাগা থাকলেও তা সামনে আনেননি শান্ত, এটাই মনে ধরেছে তামিমের।
![promotional_ad](https://cricfrenzy.com/public/storage//advertisements/89bdd065-6293-4dbe-9886-1306f11ad343.jpg)
তিনি বলেন, ‘শান্তর ব্যাপারে বলি, জাতীয় দলের অধিনায়ক, দেশের সেরা ক্রিকেটারদের একজন কিন্তু আমাদের কম্বিনেশনের কারণে বেশি খেলার সুযোগ পায়নি। কিছু দিন আগেও বলেছি, এরপরও খেলার প্রতি, দলের প্রতি তার নিবেদন ছিল দুর্দান্ত। আমি জানি, তার জন্য না খেলাটা অনেক অনেক কঠিন ছিল। তবে ও সেটা দেখায়নি, যা আমাদের কাজ সহজ করেছে।’
ফর্ম নয়, শান্তর দৃঢ় মানসিকতায় ভরসা সিমন্সের
১০ ফেব্রুয়ারি ২৫![ভারতের বিপক্ষে একটি ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্ত, ফাইল ফটো](https://cricfrenzy.com/public/storage/images/2-2025/3dA2054cfWyb2e5HHcWead01.webp)
‘আমি দুবার ট্রফি জিতেছি। হৃদয়ের কথা যদি চিন্তা করেন, সে সম্ভবত দুই-তিনটি ফাইনাল খেলেও ট্রফি জিততে পারেনি। নাজমুলের ক্ষেত্রেও একই। এই ট্রফি তাদের কাছে আমার তুলনায় অনেক বেশি মূল্যবান, অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং রিশাদের ক্ষেত্রেও। তাই আমার মনে হয়েছে, আমি হয়তো ওদের এই সম্মানটা দিতে পারি যে, ট্রফিটা ওরা নিজের হাতে তুলুক।’
সতীর্থ মুশফিক এবারের বিপিএলে ব্যাট হাতে তেমন কিছুই করেননি। তবুও দল সামলানোর জন্য বন্ধু তামিমের ভালোবাসা পাচ্ছেন তিনি। একইসঙ্গে তামিমের ভালোবাসা পাচ্ছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক মিজানুর। এমন মানুষদের ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকার তাগিদ অনুভব করছেন তামিম।
তিনি আরও বলেন, ‘বরিশালের ফ্র্যাঞ্চাইজি দারুণ, মালিকের ব্যাপারে বলব ক্রিকেট নিয়ে কোনো কথাই বলে না। কে খেলবে আসতেসে আসতেসে না। তিনি আমাকে সব দায়িত্ব দিয়েছেন। এই ধরনের মানুষ ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকলে ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়ে যাবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের কথা বলব না আমি, সব মিলিয়ে ক্রিকেটের সঙ্গে তাদের যুক্ত থাকা প্রয়োজন।'
'মুশফিককেও অনেক কৃতিত্ব দিতে হবে। যেভাবেই এই ফ্র্যাঞ্চাইজি কাজ করে, অফ ফিল্ডে আমি সব কিছু দেখাশোনা করি। পেমেন্ট সবাই পাচ্ছে কিনা। মুশফিক অন ফিল্ডে কাজ করেছে। যদিও আমাদের সিইও দারুণ।’