সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দুই ম্যাচে মাত্র ২ রান করেছিলেন শামীম। যদিও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২২ বলে ৩৩ রান করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে খেলা সবশেষ ১০ টি-টোয়েন্টির মাত্র দুইটিতে ত্রিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এই সময়ের মধ্যে তিনটা ম্যাচে আউট হয়েছিলেন রানের খাতা খোলার আগেই। সবমিলিয়ে ১০ ম্যাচের পাঁচটিতে দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। একটি ম্যাচে অবশ্য ব্যাটিং করেননি শামীম।
বাঁহাতি ব্যাটারের মতো সময়টা ভালো যাচ্ছে না জাকেরও। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২০ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। সবশেষ ১৩ ম্যাচের ছয়টিতে দুই অঙ্কে যেতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার। নেই কোন হাফ সেঞ্চুরিও। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংসটা খেলেছিলেন এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তাকে নিয়েও সমালোচনার কমতি নেই। বিশেষ করে দ্রুত রান তুলতে না পারা, শুধুমাত্র লেগ সাইড নির্ভর শটস খেলা নিয়ে সমালোচনা শুনতে হচ্ছে তাকে।
আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫ রান করা সোহান ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দুই ম্যাচে করেছিলেন ৬ রান। চলতি বছরে খেলা ৯ ম্যাচের ছয়টিতে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারলেও আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে পারফরম্যান্স মেলাতে পারেননি। বেশিরভাগ ম্যাচেই দলের প্রয়োজনে হাল ধরতে পারেননি। লোয়ার অর্ডারের কোন ব্যাটার নিয়মিত রান না করলেও উদ্বেগের কিছু দেখছেন না লিটন। সবার কাছেই বিশ্বকাপে সেরা পারফরম্যান্সটা চান বাংলাদেশের অধিনায়ক।
এ প্রসঙ্গে লিটন বলেন, ‘না, আমি খুব একটা উদ্বিগ্ন না ওই জায়গাটা নিয়ে। আমিও বলেছি প্রত্যেকটা সিরিজ প্রত্যেকটা খেলোয়াড় ভালো খেলবে না। দেখুন— হৃদয় অনেক দিন ধরে স্ট্রাগল করছিল বড় রানের জন্য। কিন্তু এই সিরিজে সে বড় রান পেয়েছে। তার মানে প্রত্যেকটা খেলোয়াড় সামর্থ্যবান বড় রান করার জন্য। তাদেরকে একটু সময় দিতে হবে। আমি আশা করি তারা বিপিএল খেলবে সবাই এবং বিপিএলে ভালো করবে। জাতীয় দলে আমার আসল দরকার বিশ্বকাপে। যদি বিশ্বকাপে ভালো করে তাহলেই হবে, আমার আর কিছু লাগবে না।’
সবশেষ এশিয়া কাপে একটি ম্যাচে ভালো করলেও গত কয়েক মাসে ব্যাট হাতে ভুগেছেন তাওহীদ হৃদয়। যার প্রভাব পড়েছে দলের পারফরম্যান্সেও। আয়ারল্যান্ড সিরিজে অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংস খেলে অবশ্য ছন্দে ফেরার আভাস দিয়েছেন। তবে ধুঁকতে থাকা সময়ে হৃদয়ের জায়গায় নতুন কাউকে চেষ্টা করে দেখেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে লিটনদের আর কোন সিরিজ নেই। এমন অবস্থায় বিশ্বকাপে গিয়ে হৃদয় যদি ছন্দ খুঁজে না পান তাহলে কী করবে টাইগাররা। ওই জায়গায় কাউকে চেষ্টা করে দেখা যেতো কিনা।
এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলেন, ‘আপনারা চিন্তা করেছেন আমি কিন্তু প্রেস কনফারেন্সে বলেছি হৃদয় বড় ম্যাচের খেলোয়াড়। সে ওই জায়গায় সামর্থ্যবান দেখেই ওইখানে আছে। আমার কাছে এটা নিয়ে কখনোই দ্বিতীয় কোন চিন্তা আসে নাই যে ওইখানে কাউরে চেষ্টা করে দেখার জন্য। আমার কাছে মনে হয় যেসব খেলোয়াড় এখানে আছে তাদের সামর্থ্য আছে। বিশ্বকাপে খেলে ফেললেই হবে, আর কিছু লাগবে না।’
প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেলেও অভিষেক হয়নি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের। ডানহাতি ব্যাটারকে না খেলানোর ব্যাখ্যায় লিটন বলেন, ‘দেখুন— আমি বলবো সে (অঙ্কন) দুর্ভাগা। যেহেতু তিনটা ম্যাচই আমরা খেলেছি। ওই জায়গায়, ওই পজিশনে আমরা তিনজনকেই ঘুরিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি। আরও ম্যাচ বেশি থাকলে হয়তোবা তাকেও চেষ্টা করতাম। সুতরাং ওইদিক দিয়ে সে অনেক দুর্ভাগা।’