মিরপুরে চালকের আসনে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ
মিরপুরে চালকের আসনে বাংলাদেশ
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ‍উদ্বোধনী জুটিতে ১১৯ রান যোগ করেছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম, ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে পথ হারালেও তৃতীয় দিনের সকালে আয়ারল্যান্ডের হয়ে শুরুটা ভালো করেছিলেন লরকান টাকার ও স্টিফেন দোহেনি। জুটি ভাঙার সঙ্গে সফরকারীদের আটকে দেয়ার কাজটা করেছেন তাইজুল ইসলাম। ৭৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ডকে ২৬৫ রানে থামানোর কাজটা করেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। সঙ্গী ছিলেন হাসান মুরাদ, ইবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদরা। সুযোগ থাকলেও আইরিশদের ফলোঅন করায়নি বাংলাদেশ। ২১১ রানের লিড নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলামের হাফ সেঞ্চুরিতে ১ উইকেটে ১৫৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ৩৬৭ রানের লিড নিয়ে মিরপুরে টেস্ট চালকের আসনে এখন নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

আগের দিনের ৫ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে আয়ারল্যান্ড। দুই ব্যাটার টাকার ও দোহেনির কেউই বাংলাদেশকে তেমন কোন সুযোগ দেননি। দিনের প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশের বোলারদের রীতিমতো হতাশায় ডুবিয়েছেন। দোহেনি একটা সুযোগ দিলেও জয় সেটা লুফে নিতে পারেননি। এমন সময় আচমকা ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রেসবক্সসহ পুরো মাঠ কেঁপে উঠে।

দুই-তিন মিনিটের জন্য খেলাও বন্ধ ছিল। ভূমিকম্প শেষেই আয়ারল্যান্ড শিবিরে আঘাত হানেন তাইজুল। দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা দোহেনি বোল্ড করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ৭৭ বলে ৪৬ রান করা দোহেনির বিদায়ে ভাঙে টাকারের সঙ্গে ১৫০ বলে ৮১ রানের জুটি। একই ওভারে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকেও বোল্ড করেছেন তাইজুল। পরবর্তীতে জর্ডান নিলকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন টাকার। দিনের প্রথম সেশনে দুই উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তোলে আয়ারল্যান্ড।

দোহেনি না পারলেও ১০৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন টাকার। অষ্টম উইকেটে নিল ও টাকার মিলে গড়া ৭৪ রানের জুটি ভাঙেন ইবাদত হোসেন। নতুন বল হাতে নিয়েই ৮৩ বলে ৪৯ রান নিলকে ফেরান তিনি। ২০২৩ সালের জুনের পর টেস্টে উইকেটের দেখা পেয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। চোট কাটিয়ে ফিরে শ্রীলঙ্কায় একটি টেস্ট খেললেও সেই ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন ইবাদত।

একটু গ্যাভিন হোয়েকে ফেরান খালেদ। শেষ ব্যাটার হিসেবে ম্যাথু হামফ্রিসকে ড্রেসিং রুমে পাঠিয়েছেন তাইজুল। হামফ্রিসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেয়ার তালিকায় সাকিব আল হাসানকে ছুঁয়েছেন তিনি। ৭১ টেস্টের ২১১ ইনিংসে ২৪৬ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। বিপরীতে তাইজুলের ২৪৬ উইকেট নিতে লেগেছে ১০১ ইনিংস। আয়ারল্যান্ডকে ২৬৫ রানে অল আউট করে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের হয়ে তাইজুল চারটি এবং দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন মুরাদ ও খালেদ।

২১১ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন সাদমান ও জয়। দুজনেই শুরু থেকে খানিকটা আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেন। শেষ বিকেলের পুরোটা সময় জুড়েই দাপট দেখিয়েছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৭৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন জয়। আরেক ওপেনার সাদমান পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৭৬ বলে। তাদের হাফ সেঞ্চুরিতে একশও ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের লিডও ক্রমশই বাড়তে থাকে। সাদমান ও জয়ের কল্যাণে টানা দুই ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে শতরান দেখেছে বাংলাদেশ।

এর আগে এমন কীর্তি ছিল তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২৪ ও পরের বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩১২ রানের জুটি গড়েছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। এদিকে হাফ সেঞ্চুরির পর দ্রুতই ফিরতে হয়েছে জয়কে। ৬০ রান করা ডানহাতি ব্যাটারকে ফিরিয়ে ১১৯ রানের জুটি ভাঙেন হোয়ে। মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে বাকিটা সময় কাটিয়ে দেন সাদমান। তিনি অপরাজিত আছেন ৬৯ রান করে। আরেক ব্যাটার মুমিনুল অপরাজিত ১৯ রানে।

আরো পড়ুন: তাইজুল ইসলাম