জাতীয় দলের হয়ে এখনো পর্যন্ত ৯৯ টেস্টে ২৭ হাফ সেঞ্চুরি ও ১২ সেঞ্চুরিতে ছয় হাজার ৩৫১ রান করেছেন মুশফিক। বাংলাদেশের প্রথম হলেও বিশ্বের ৮৪তম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান টেস্ট ছেড়ে দেয়ায় তাদের সেই সুযোগটা নেই। তবে ৭৪ টেস্ট খেলা মুমিনুল হকের সম্ভাবনা আছে ১০০ টেস্ট খেলার। সুস্থ থাকার পাশাপাশি নিয়মিত পারফর্ম করলে তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ কিংবা লিটন দাসেরও সুযোগ থাকবে এমন কীর্তি গড়ার।
দেশের প্রথম ক্রিকেটার হওয়ায় বিশেষ আয়োজন করবে বিসিবি। ক্রিকেটাররাও নিজেদের পরিকল্পনা করে রেখেছেন তাকে নিয়ে। উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ সিমন্সও। মুশফিকের 'কিংবদন্তি' হয়ে ওঠার পেছনে তার পেশাদারিত্বকে দায়ী করছেন তিনি।
সিমন্স বলেন, 'মুশফিক অবশ্যই একজন কিংবদন্তি। আমি মনে করি, টেস্ট ক্রিকেটে তার মতো এতগুলো ডাবল সেঞ্চুরি খুব বেশি খেলোয়াড় করতে পারেনি। সে বহু বছর ধরে পারফর্ম করে আসছে, যা প্রায় ২০ বছরের মতো। তাই তাকে কিংবদন্তি হতেই হবে, কারণ তার এই দীর্ঘস্থায়ীত্ব এবং পারফরম্যান্স তাকে সেই পর্যায়ে নিয়ে গেছে।'
'আমার মনে হয় তাঁর (সাফল্যের) সিক্রেট হচ্ছে পেশাদারিত্ব। আপনি নিজেকে পরিচালনা করেন, কীভাবে খেলার উন্নতিতে কাজ করেন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সফল হওয়ার জন্য কীভাবে কাজ করেন সেটাই মূল বিষয়। আপনি যদি একটু পেছন ফিরে তাকান তাহলে দেখবেন সে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সফল হয়েছে এবং সেটাই তাকে এখানে রেখেছে। কিন্তু যারা ১০০ কিংভা ১৫০ টেস্ট খেলেছে তাদের সবার মধ্যে ভালো করার প্রচেষ্টা ছিল, এটা তাঁর মধ্যেও ছিল। আমার মনে হয় এটা অনেক বড় ব্যাপার। ক্রমাগত উন্নতি করা এবং ভালো করার চেষ্টা এবং এই পর্যায়ে পারফর্ম করার ইচ্ছেটা অনেক বড় বিষয়।'
মুশফিকের একশ টেস্ট খেলাটা এই ফরম্যাট নিয়ে দলের তরুণ ক্রিকেটারদের চিন্তা -ভাবনা পাল্টে দেবে বলেই বিশ্বাস সিমন্সের। মুশফিকের সঙ্গে তরুণ ক্রিকেটারদের সখ্যতাও মনে ধরেছে সিমন্সের।
তিনি আরো বলেন, 'মুশফিকের প্রতি সবার অগাধ সম্মান রয়েছে। এ কারণেই সব খেলোয়াড় তার কথা শোনে এবং সেও অনেক কিছু শেয়ার করে। এটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে যখন কিছু বলতে চায়, সে তা বলে এবং খেলোয়াড়রা তা শোনে।'
'আপনি দেখবেন খেলোয়াড়রা তার সঙ্গে নিয়মিত কথা বলছে, বিশেষ করে এই পর্যায়ে ব্যাটিং নিয়ে। সুতরাং, তার দেয়ার মতো অনেক কিছু আছে এবং খেলোয়াড়রা তার আশেপাশে থাকতে এবং তাকে যথেষ্ট সম্মান করতে পেরে খুশি, যাতে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে পারে।'