শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ১১ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে পারেনি বাংলাদেশ। তারা ম্যাচ হেরেছে ১ রানে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সৌম্য সরকার জানিয়েছেন সুপার ওভারের ব্যাটিং লাইনআপ তৈরি করেছেন কোচ ও অধিনায়ক মিলেই। তাই তারাই এই ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন।
সৌম্য বলেন, ' ওটা কোচ আর অধিনায়কের পরিকল্পনা ছিল। তাদের পরিকল্পনার একটা অংশ ছিল এটা। তারা চিন্তা করেছে যে মেইন ব্যাটসম্যানকে পাঠাবে।'
রিশাদ মূল ম্যাচে ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩টি করে চার-ছক্কায় মাত্র ১৪ বলে ২৭৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। প্রথম ম্যাচেও তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ২৬ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। এমন পারফরম্যান্সের পরও রিশাদকে সুপার ওভারে না দেখে অবাক হয়েছেন সবাই।
সৌম্য জানিয়েছেন এর পেছনে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের কথাও চিন্তা করেছেন তারা। এমনটা হলে আকিলের বদলে অন্য কোনো অফ স্পিনার বল করতেন। যেটা বাংলাদেশের খেলা আরও কঠিন করে তুলতে পারত। পুরো সিদ্ধান্তই ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট তথা কোচ-অধিনায়কের।
এ প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়ে সৌম্য বলেন, 'এটা নিয়ে তো আমরা সবাই চিন্তা করিনি, এটা কোচ আর অধিনায়ক চিন্তা করেছে। আমরা কিন্তু জানতাম না যে আকিল হোসেন বল করবে। যদি আমরা দুজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নেমে যেতাম আর তখন কোনো অফ স্পিনার আসতো, তাহলে আমরা বিপদে পড়তাম। এজন্যই বাঁহাতি-ডানহাতি কম্বিনেশন রাখা হয়েছিল। আপনি ওদের ক্ষেত্রেও দেখবেন, ওরাও কিন্তু বাঁহাতি-ডানহাতি মিলিয়েই ব্যাটিং করেছে।'