আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুইটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। সিরিজ খোয়ানোর পর ১৪ অক্টোবর হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে নামবেন তানজিদ হাসান তামিম, সাইফ হাসানরা। আফগানদের বিপক্ষে খেলা শেষ তিন ওয়ানডে সিরিজের সবকটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। শুধুমাত্র রশিদ খান-রহমানুল্লাহ গুরবাজদের সঙ্গেই এমন দশা ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়। সবশেষ কয়েকমাস ধরেই ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ছন্দ খুঁজে পাচ্ছে না টাইগাররা।
একটা সময় ওয়ানডে ফরম্যাটকে বলা হতো বাংলাদেশের সবচেয়ে পছন্দের ফরম্যাট। সবশেষ বিশ্বকাপের আগে হওয়া সুপার লিগে তিন নম্বরে শেষ করা সেটারই প্রমাণ। নিজেদের খেলা সবশেষ ১১ ওয়ানডের ১০টিতে হারতে হয়েছে মিরাজদের। ব্যাটে-বলে পারফর্ম করতে না পারায় র্যাঙ্কিংয়েও উন্নতি হচ্ছে না বাংলাদেশের। একটা সময় ৬ কিংবা ৭ নম্বরে নিয়মিত অবস্থান করলেও এখন নেমে গেছে ১০ নম্বরে। এমন অবস্থায় সাউথ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় হতে যাওয়া ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলা নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হয়েছে।
যদিও বাংলাদেশের সামনে এখনো ২৪টি ম্যাচ বাকি রয়েছে। ২০২৭ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে সেরা নয়ের মধ্যে ফিরতে পারলে সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট কাটতে পারবেন মিরাজরা। সেটা করতে না পারলে বাছাই পর্ব উতরে বিশ্বকাপের বিমান ধরতে হবে বাংলাদেশকে। ব্যাকফুটে থাকলেও এখনই এতো কিছু নিয়ে চিন্তা করছেন না রিশাদ। সামনের দিনে ভালো কিছু করার জন্য বর্তমান সময়টাকে শেখার প্রক্রিয়া হিসেবে দেখছেন ডানহাতি এই লেগ স্পিনার।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের আগে রিশাদ বলেন, ‘আমরা এখন একটু ব্যাকফুটে আছি বা আমরা সামনের দিকে ভালো কিছু করার জন্য হয়তো বা এটা আমাদের একটা লার্নিং প্রসেস হইতে পারে। যে আমাদের সামনে অনেক খেলা আছে এবং ওয়ার্ল্ড কাপ আছে। তো আমরা এতকিছু চিন্তা করতেছি না।’
বর্তমানে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা তিন বিভাগেই একসঙ্গে জ্বলে উঠতে না পারা। সবশেষ কয়েক বছরে বেশিরভাগ ম্যাচেই প্রভাব রেখেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। সেটাও খানিকটা কমতে শুরু করেছে। যদিও সমস্যাটা ব্যাপক হয়েছে ব্যাটিংয়ে। সম্প্রতি টপ অর্ডার ভালো করলে মিডল অর্ডার জ্বলে উঠতে পারে না। আবার দেখা যায় উল্টো চিত্রও। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে টেনেটুনে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয় মিডল অর্ডাররা।
যদিও মিডল অর্ডারে স্পিন খেলতে না পারা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য। টানা হারতে থাকলেও রিশাদ মনে করেন, তিন বিভাগেই ভালো করলে তাদের সামনে ভারত কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মতো দলও দাঁড়াতে পারবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং যেদিন ক্লিক করবে—সেটা হোক ভারত, অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ড, কেউই আমাদের সামনে দাঁড়াতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।’