২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলমকে সরিয়ে বিসিবি পরিচালক করা হয় ফারুক ও নাজমুল আবেদিন ফাহিম। পরবর্তীতে নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগ করলে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ফারুক। যদিও কয়েক মাসের ব্যবধানেই সেখান থেকে সরে যেতে হয় তাকে। সভাপতি হিসেবে পারফরম্যান্স ও বিপিএল ইস্যুতে তাকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এনএসসি।
এ ছাড়া ফারুক বাদে বিসিবির ৯ পরিচালকের ৮জনই তাঁর উপর অনাস্থা প্রকাশ করে এনএসসিতে চিঠি দেয়া হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের পরিচালক পদ কেড়ে নেয় তারা। এককভাবে ক্ষমতা ব্যবহারের অভিযোগও আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। অনেকটা বেজ্জতি হয়ে সেদিন বিসিবি ছাড়তে হয়েছিল ফারুককে। যদিও কয়েক মাসের ব্যবধানে আবারও বিসিবিতে ফিরলেন তিনি।
রেঞ্জার্স ক্রিকেট একাডেমির কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন ফারুক। এমনকি সর্বোচ্চ ৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিতও হয়েছেন। পরিচালক হওয়ার পর সহ-সভাপতির দায়িত্বও পেয়েছেন ফারুক। এমন দায়িত্ব পাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, এতটা বাজে অভিজ্ঞতা থাকার পরও কেন বিসিবিতে ফিরলেন তিনি। ফারুক অবশ্য অতীতে ফিরতে চাইলেন না।
এ প্রসঙ্গে বিসিবির সহ-সভাপতি বলেন, ‘এখন আমরা সামনে আগে এগিয়ে যাব, আমি পিছনে যেতে চাই না। একটা কথা বারবার বলছি, একটা পূর্ণাঙ্গ বোর্ড হয়েছে। আমরা সামনের দিকে দেখতে চাই। কী হয়েছে, মানুষের জীবনে অনেক ধরনের দুর্ঘটনা হয়, কঠিন সময় যায়। কিন্তু আমার কথা হলো এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। নতুন সভাপতি তিন-চার মাস ছিলেন। আবার তাঁর নেতৃত্বে এখন আমরা একটা পূর্ণাঙ্গ বোর্ড পেয়েছি। আশা করি বোর্ডটা লম্বা সময়ের জন্য থাকবে এবং সেই পরিকল্পনায় আমরা এগিয়ে যেতে পারব।’
নতুন করে বিসিবিতে এসে আবারও সেই পুরনো আলাপই করেছেন ফারুক। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের চাওয়া দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেয়া। সেই সময় সাংবাদিকদের দেখিয়ে জানান, তাদের মতো তারাও দেশের ক্রিকেটের উন্নতি চান। সেই কাজ করতে গিয়ে যে কিছু সমস্যা আসতে পারে সেটাও মনে করিয়ে দিলেন ফারুক। তবে এসব থেকে বের হতে চান বিসিবির সহ-সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘সভাপতি বলেছেন আমাদের সবার লক্ষ্য...আপনারা এখানে যারা বসে আছেন আপনারা চান বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যাক। আমরা এখানে যারা বসে আছি, আমরাও চাই বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাক। লক্ষ্য কিন্তু একটাই। এই লক্ষ্যের মাঝে কিছু জিনিস আসে...ওই জিনিসগুলো আমাদের ট্যাকেল দিতে হবে। বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।’