দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে তামিমদের কাছে যেতে চান বুলবুল

বাংলাদেশ
দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে তামিমদের কাছে যেতে চান বুলবুল
ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
সরকারি হস্তক্ষেপ ও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না পাওয়ায় বিসিবি নির্বাচন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে তামিম ইকবালসহ ১৬ জন প্রার্থী। পরবর্তীতে আরও পাঁচজন নির্বাচন বর্জন করলে সবমিলিয়ে ২১জন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে সরে দাঁড়ানো সংগঠকদের সঙ্গে নিয়েই কাজ করতে চান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এমনকি বিসিবি সভাপতি নিজেই তাদের কাছে যেতে চান।

নির্বাচন নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হলেও কয়েকদিনের মধ্যেই সেটা বদলে যায়। বুলবুল ও তামিম বিরোধীপক্ষ হওয়ার পর থেকেই একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করেছেন। বেশিরভাগ সময়ই সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন তামিমসহ ঢাকার ক্লাব সংগঠকরা। বেশ কয়েকবার সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তারা। যদিও পরবর্তীতে ক্রীড়া উপদেষ্টা মিলে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার করার সুযোগ তৈরি হয়েছিল।

যদিও বনিবনা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন তামিমসহ ১৬জন। পরবর্তীতে সেটা গিয়ে দাঁড়ায় ২১ জনে। প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকিদের জয়ও প্রায় নিশ্চিতই ছিল। শেষ পর্যন্ত ৬ অক্টোবরের নির্বাচনে তিন ক্যাটাগরি থেকে ২৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন। দুজন এসেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে। ২৫ জন পরিচালক নিয়ে গঠিত হয়েছে নতুন বোর্ড।

নির্বাচন শেষ হওয়ার পরই পরিচালকরা মিলে বুলবুলকে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। সেই সঙ্গে ফারুক আহমেদ ও শাখাওয়াত হোসেনকে সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। নির্বাচিত নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বুলবুল মনে করেন, সব দেশ ও সব সেক্টরের নির্বাচনেই এমন বিতর্ক থাকে। তবে বিসিবি সভাপতি জানান, গঠনতন্ত্র ও বিধিমালা মেনেই তারা নির্বাচন করেছেন। তবে যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চান তিনি।

এ প্রসঙ্গে বুলবুল বলেন, ‘প্রথমেই সোজাসাপ্টা একটা স্টেটমেন্ট দিতে চাই আমরা সবাই একসাথে কাজ করতে চাই বাংলাদেশের ক্রিকেটে। কারা ক্রিকেট বোর্ডে আছে কারা ক্রিকেট বোর্ডে নেই— সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের আমরা আহ্বান জানাবো বাংলাদেশের ক্রিকেটের কাজে কাজ করতে এবং আমাদেরকে সহায়তা করতে। এখানে হয়ত বিতর্ক নির্বাচনের আগে সব দেশে, সব জায়গায়, সব সেক্টরেই হয়।’

‘আমার জানা মতে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের যে গঠনতন্ত্র আছে সেটার মধ্যে থেকেছি। নির্বাচনের যে বিধিমালা ছিল তার মধ্যে ছিলাম। কিন্তু সোজা উত্তর হচ্ছে, কে বোর্ডে আছে কে বোর্ডে নেই— আমরা সবাইকে আহ্বান জানাবো আমাদের সাথে একসাথে কাজ করে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। দরকার হলে আমরা তাদের কাছে যাব এবং যারা এই মুহূর্তে বোর্ডে নেই তাদেরকেও আমরা আহ্বান জানাবো আমাদের যেন এই পথচলায় সহায়তা করে।’

মনোনয়ন প্রত্যাহারকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নামটা ছিলেন তামিম। ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর সংগঠক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। ওল্ড ডিওএসএইচ ক্লাবের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচনে অংশও নিতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। তবে নির্বাচন ফিক্সিং হচ্ছে অভিযোগ এনে সরে দাঁড়ান তিনি। এ ছাড়া মোহামেডান ও আবাহনীর মতো ক্লাবেরও প্রতিনিধি নেই বোর্ডে। বুলবুল জানান, দেশের ক্রিকেটের জন্য প্রয়োজনে তামিমদের কাছে যাবেন তিনি।

বুলবুল বলেন, ‘যেটা আগেও বলেছি আমরাই যাব তাদের কাছে যারা আসতে পারেনি। অ্যাপ্রোচ করব কিভাবে তারা আমাদের সহায়তা করতে পারে ক্রিকেটে। বাংলাদেশ তো সবার, নির্বাচন তো ছোট্ট একটা আনুষ্ঠানিক ব্যাপার। চেষ্টা করব সকলের কাছে গিয়ে একসাথে টেনে নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।’

আরো পড়ুন: আমিনুল ইসলাম বুলবুল