হংকং চায়না ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপের রানার্স হিসেবে সুপার ফোরে উঠে বাংলাদেশ। ২০ সেপ্টেম্বর দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচ খেলেন লিটন দাসরা। ৪ উইকেটের জয় ফুরফুরে মেজাজে আছেন ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশের পরের ম্যাচে ২৪ অক্টোবর, ভারতের বিপক্ষে।
একই মাঠে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮ টায় মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ভারত ম্যাচের আগের দিন দুবাইয়ে অনুশীলন করছেন না ক্রিকেটাররা। প্রচণ্ড গরমের কথা মাথায় রেখে ২৩ সেপ্টেম্বর বিরতি রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ভারত ম্যাচের পর ২৫ সেপ্টেম্বর একই সময়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
ধারণা করা হচ্ছে, পরপর দুইদিনে ২ ম্যাচ থাকায় ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। সুপার ফোরে একমাত্র বাংলাদেশই পরপর দুইদিনে দুই ম্যাচ খেলবে। ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার অন্তত একদিন করে বিরতি রাখা হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে শন টেইট জানিয়েছিলেন, এমন সূচি নিয়ে অভিযোগ নেই। তবে বাংলাদেশের প্রধান কোচ অবশ্য নিজের সন্তুষ্টির কথা জানালেন প্রকাশ্যে।
ভারত ম্যাচের আগে সিমন্স বলেন, ‘ব্যাক টু ব্যাক টি-টোয়েন্টি খেলা খুবই কঠিন, ব্যাক টু ব্যাক ওয়ানডে খেলাও। এটা আদর্শ কিছু না। কিন্তু আমরা প্রস্তুত আছি। সত্যি বলতে অনুশীলনে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি মনে করে ছেলেরা পরপর ম্যাচ খেলার জন্য যথেষ্ট ফিট। তবে কোনো দলের জন্যই ব্যাক টু ব্যাক টি-টোয়েন্টি খেলা ফেয়ার না। এটা মানুষের ধারণার চেয়েও কঠিন।’
চলতি এশিয়া কাপে মাঠের পারফরম্যান্সের সঙ্গে ম্যাচ জয়ে বড় ভূমিকা রাখছে টস জয়। বেশিরভাগ ম্যাচেই রান তাড়া করা দলগুলো জয় পেয়েছে কিংবা জয়ের সুযোগ তৈরি করেছে। যদিও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টসের খুব বেশি পার্থক্য দেখেন না সিমন্স। এ ছাড়া দুবাইয়ের উইকেটে ব্যাটারদের জন্য বাড়তি সুবিধা থাকায় সেখানকার উইকেটের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ।
সিমন্স বলেন, ‘দেখুন— ৪০ ওভারের খেলায় উইকেটে আমি খুব বেশি পার্থক্য দেখিনি। বেশ কয়েকদিন ধরে যা দেখছি তাতে আমার মনে এটা এখানকার অন্যতম সেরা উইকেট। আমি মনে করি গত ম্যাচেও এটাই প্রমাণ করেছে। সত্যি বলতে উইকেট ব্যাটিংয়ের ভালো ছিল। এজন্য বোলারদের কাজটা ঠিকঠাকভাবে করতে হয়েছে। আমি মনে করি টসের খুব বেশি প্রভাব আছে।’