তারকায় ঠাঁসা রংপুরকে উড়িয়ে কোয়ালিফায়ারে খুলনা
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি
ছোটো লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেট হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। আকিফ জাভেদের বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন তিনি শূন্য রানে। প্রথম বলটি দারুণ করলেও দ্বিতীয় বল করতে গিয়ে দুই ওয়াইড দিয়ে বসেন পাকিস্তানি এই পেসার। তবে নিজের তৃতীয় বলেই মিরাজের উইকেট তুলে নেন তিনি। আকিফের এঙ্গেলে করা বল ব্যাটেই ছোঁয়াতে পারেননি মিরাজ।
মিরপুরে বিদেশিদের বোলিং করতে ভালো লাগে নাসুমের
৩ ফেব্রুয়ারি ২৫এরপর খুলনাকে আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি নাইম শেখ ও অ্যালেক্স রস। দুজনে অবিচ্ছিন্ন ৮৭ রানের জুটি গড়ে খুলনাকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। নাইম ৩৩ বলে ৪৮ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। ২৭ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করে এসেছেন রস। প্রথম কোয়ালিফায়ারে ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংসের মধ্যকার ম্যাচে যারা হারবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তাদের সঙ্গে খেলবে খুলনা।
এর আগে এই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। রাসেল-ডেভিডদের মতো তারকাদের নিয়ে একাদশ সাজালেও ম্যাচ শুরুর পর সেই উদ্যোম আর থাকেনি রংপুরের। মাত্র ১৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় দলটি। এই ম্যাচে কোনো রান যোগ করার আগেই রান আউট হয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার।
ভিন্স এই ম্যাচে নেমে ফিরেছেন মাত্র ১ রান করে। নাসুম আহমেদের বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন ডানহাতি এই ইংলিশ ব্যাটার। এরপর শেখ মেহেদীকে বোল্ড করে রংপুরের টপ অর্ডারে ধস নামান নাসুম। সাইফ হাসানও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। মাত্র ৪ রান করা এই ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
সকালে এসে রাসেলদের দুপুরে ম্যাচ খেলাকে আদর্শ মনে করেন না আশরাফুল
৩ ফেব্রুয়ারি ২৫এই স্পিনারের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে টপ এজ হয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে মোহাম্মদ নাওয়াজের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে এলবিডব্লিউ বানিয়ে আউট করেছেন হাসান মাহমুদ। এরপর অধিনায়ক সোহান একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। তবে সেই চেষ্টাকে সফল হতে দেননি মিরাজ। তিনি সোহানকে এলবিডব্লিউ বানিয়ে আউট করেন।
এরপর টিম ডেভিড-আন্দ্রে রাসেলরাও ব্যর্থ হয়েছেন। দুজনের একজনও পাননি দুই অঙ্কের দেখা। শেষদিকে আকিফ জাভেদ ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি। ১৮ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩২ রান এসেছে তার ব্যাট থেকেই। দুটি ছক্কার সঙ্গে আকিফের ব্যাট থেকে এসেছে ৪টি চার। আকিফ ফিরে গেলে রংপুরের ইনিংস ৮৫ রানে গুটিয়ে যায়। খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন মিরাজ ও নাসুম। একটি করে উইকেট পান নাওয়াজ, হাসান ও মুশফিক হাসান।