অবসরে শাপুর জাদরান
ছবি: উইকেট নেয়ার পর শাপুর জাদরানের উদযাপন, এসিবি
ছয় ফুটের বেশি উচ্চতার কারণে সবার বাড়তি মনোযোগ পেতেন শাপুর। বল হাতেও দলকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন তিনি। আফগানিস্তানের হয়ে ৪৪ ওয়ানডেতে ৪৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আর টি-টোয়েন্টিতে ৩৬ ম্যাচে তার শিকার ৩৭ উইকেট।
ব্রাভোর চেয়ে ১২১ ম্যাচ কম খেলেও চূড়ায় রশিদ
৩ ঘন্টা আগেবিদায় বেলায় শাপুর বলেছেন, 'আফগান ক্রিকেটের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমার পথচলা শুরু হয়েছিল। অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছি, সীমিত রসদ নিয়ে লড়েছি, অনেক বাধা পেরিয়েছি, কিন্তু কখনোই বিশ্বাস হারাইনি। ক্রিকেট সমর্থকদের সমর্থন, সতীর্থরা, কোচরা এবং বিশেষ করে আমার পরিবার পাশে থেকে প্রতিটি বাধা পার হতে সহায়তা করেছে আমাকে। সবার প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।'
আফগানিস্তানের ক্রিকেট দর্শকরাই ছিলেন শাপুরের শক্তির বড় জায়গা। এ জন্য তাদেরকেও বিদায় বেলায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই পেসার। তাদের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শাপুর বলেন, 'আমার পরিবার, বন্ধু, সমর্থক ও আফগানিস্তানের মানুষদের ভালোবাসা, দোয়া ও অটুট সমর্থন আমার সবসময়ের সবচেয়ে বড় শক্তি। এটার জন্য আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।'
আফগানিস্তানের ক্রিকেটের শুরুর দিকে যে কয়জন ক্রিকেটার ছিলেন দলটির কান্ডারি তাদেরই একজন ছিলেন শাপুর। তার সঙ্গেই খেলা শুরু করেছিলেন হামিদ হাসান ও মোহাম্মদ নবি। হামিদও ক্রিকেট ছেড়েছেন কিছুদিন আগে। তবে নবি এখনও খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শাপুরের আদর্শ ছিলেন পাকিস্তানের পেসার শোয়েব আখতার। তিনিও আগ্রাসী বোলিংয়ের সঙ্গে দীর্ঘ রান আপ নিতেন। তার স্মরণীয় পারফরম্যান্স ছিল ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। সেবার ১০ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সেই টুর্নামেন্টে ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, কেন উইলিয়ামসন ও তিলকারত্নে দিলশানের উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।