নিতিশের অভিষেক সেঞ্চুরি, সুন্দরের হাফ সেঞ্চুরিতে ভারতের লড়াই
ছবি: নিতিশ কুমার রেড্ডির (বামে) অভিষেক সেঞ্চুরি উদযাপন, উপভোগ করছেন মোহাম্মদ সিরাজ (ডানে), ক্রিকইনফো
ঋষভ পান্ত ছয় এবং রবীন্দ্র জাদেজা চার রানে তৃতীয় দিন শুরু করেন। যদিও এই দুজনের জুটি জমেনি। স্কোরবোর্ডে ৩২ রান যোগ হতেই ফিরে যান পান্ত। ২৮ রানে থাকা পান্তকে ফেরান স্কট বোল্যান্ড। এই পেসারের বলে ফাইন লেগে স্কুপ করতে গিয়ে থার্ড ম্যান সীমানায় ক্যাচ তুলে দেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। লুফে নিতে একটুও ভুল হয়নি নাথান লায়নের। ফলো অন থেকে তখনও
বেশ দূরে ভারত।
স্কোরবোর্ডে আরও ৩০ রান যোগ হতেই ফিরে যান রবীন্দ্র জাদেজা। উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হন তিনি। লায়নের বল উইকেটের সামনে তার প্যাডে আঘাত করে। তার স্কিড করা বলটি লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে ব্যাটে-বলে সংযোগ হয়নি জাদেজার। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। ৫১ বলে ১৭ রান করে ফিরতে হয় তাকে। এরপর নিতিশ আর সুন্দরের ব্যাটে মধ্যাহ্নভোজ পর্যন্ত নিরাপদই থাকে ভারত।
বিরতির পর ফিরে ৮১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন নিতিশ। দেখতে দেখতে জুটিতে ১০০ রান পার করেন তারা। এই দুজনের ব্যাটে ফলো-অন অতিক্রম করে ভারত। এর একটু পরই নামে বৃষ্টি। যার কারণে মেলবোর্নে খেলা বন্ধ থাকে। এ কারণে সময়ের আগেই চা-বিরতির ঘোষণা করে আম্পায়ারেরা। ভারতের রান তখন সাত উইকেট ৩২৬ রান।
চা-বিরতি শেষেও নির্ধারিত সময়ে মাঠে নামতে পারেনি দুই দল। বৃষ্টি থামলে মাঠে নামার একটু পরই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সুন্দর। ১৪৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি আসে তার ব্যাটে। নিতিশ তখন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে। এই দুজনের ১২৭ রানের জুটি ভাঙেন লায়ন। ১৬২ বলে সেই পঞ্চাশ রান নিয়েই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সুন্দর। এরপর শূন্য রানে বিদায় নেন জসপ্রিত বুমরাহও। দলীয় ৩৫০ রানে প্যাট কামিন্সের বলে খোঁচা মেরে প্রথম স্লিপে উসমান খাওয়াজার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বুমরাহ।
ওয়াশিংটন এবং বুমরাহ আউট হতে চিন্তা তৈরি হয়েছিল নিতিশ আর তিন অঙ্কে পৌঁছতে পারবেন কি না। কিন্তু সিরাজ মাঠে নেমেই কামিন্সের সেই ওভারের শেষ তিনটি বল খেলে দেন। পরের ওভারে সুযোগ পেয়ে প্রথম দুই বলে রান না নিলেও তৃতীয় বলে চার মেরে সেঞ্চুরি পূরণ করেন নিতিশ। সেই সঙ্গে শতরান পূর্ণ হয় তার। আলো কম থাকার কারণে দুই দল মাঠ ছেড়ে যায়। এরপর বৃষ্টি নামলে তৃতীয় দিনের খেলা সময়ের আগেই শেষ হয়।