ইবাদতের দারুণ বোলিংয়ে আসরে টিকে রইল সিলেট
ছবি: ইবাদত হোসেন, ক্রিকফ্রেঞ্জি
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের আউটার মাঠে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশালকে শুরুতেই চেপে ধরেন ইবাদত হোসেন। প্রথম ওভারের শেষ বলে আব্দুল মজিদকে শূন্য রানে ফেরান তিনি। পরের ওভারের প্রথম বলে ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে দুই রানে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি।
তবে হ্যাটট্রিক তুলে নিতে পারেননি ইবাদত। এরপর তোফায়েল আহমেদ, সৈয়দ খালেদ আহমেদরাও উইকেট শিকারে যোগ দেন। ফলে মাত্র ৫৭ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বরিশাল।
সাত নম্বরে নামা সোহাগ গাজী কিছুটা প্রতিরোধ গড়লে একশ রান অতিক্রম করতে পারে বরিশাল। কামরুল ইসলাম রাব্বির অবদান অবশ্য আরও বেশি। ১৪ বলে ১৬ রান আসে সোহাগের ব্যাটে। কামরুল করেন ২৬ বলে ২৫ রান।
সিলেটের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন ইবাদত এবং তোফায়েল। রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩.২ ওভারে ৩৮ রান তোলেন জিসান আলম ও তৌফিক খান। তবে পঞ্চম ওভারের মধ্যেই ফিরে যান এই দুজন।
জিসান ৮ বলে ১২ এবং তৌফিক ১৩ বলে ২১ রান করে ফিরে যান। চাপে পড়ে সিলেট। এই চাপের সামাল দিতে পারেননি পিনাক ঘোষ, আসাদুল্লাহ আল গালিব এবং তোফায়েল। এই তিনজনও যথাক্রমে ৯, শূন্য এবং ৬ রানে ফিরলে চাপে পড়ে সিলেট।
৫৬ রানে পাঁচ উইকেট হারায় দলটি। তারপর ওয়াসিফ আকবর ও মাহফুজুর রাব্বি মিলে গড়েন ৩৩ রানের জুটি। ওয়াসিফ ২০ রান করে আউট হলেও বোলারদের নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন রাব্বি। ৩০ বলে দুটি চারে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। পাশাপাশি ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতে নেন তিনি।