জাকেরদের যত্ন নিতে বললেন বিশপ
ছবি: সংগৃহীত
স্যাবাইনা পার্কে দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ের পুরো চিত্রটা অবশ্য জাকেরকে ঘিরে। প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আগুনে পুড়ে ছাড়খাড় হয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। জ্যামাইকাতেও এমন কিছুই চেয়েছিলেন স্বাগতিকদের সহ-অধিনায়ক জশুয়া ডি সিলভা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বিবর্ণ হয়েছে জাকেরের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে। বাংলাদেশের ব্যাটারদের সবচেয়ে বড় দুর্নাম টেইলএন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে না পারা।
জাকেরের ক্ষেত্রেও প্রায় একই অভিযোগই লেপ্টে যেতে পারতো। তাসকিন আহমেদকে স্ট্রাইক দিয়ে যে ভুল করেছিলেন সেটা বুঝতে খুব বেশি সময় নেননি তরুণ এই ব্যাটার। বাকিদের নিয়ে জাকের একাই টেনে বাংলাদেশকে। হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে চার-ছক্কায় স্বাগতিক বোলারদের তুলোধুনো করেছেন তিনি। পুল, হুকে বল ফেলেছেন সীমানার ওপারে। পরিস্থিতি বিবেচনায় জাকেরের ৯১ রানের ইনিংস তাই সেঞ্চুরির চেয়ে বেশি কিছু।
ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে আলাপকালে জাকেরের প্রশংসা করেছেন ইয়ান বিশপ। জনপ্রিয় ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘অনেক ক্রিকেটারই আছে যারা ছোটখাটো গড়নের। জাকের আলী দেখিয়েছে তার হাতে পাওয়ার আছে। সে ছক্কা মারতে পারে। আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে চার-পাঁচজন ক্রিকেটারকে। তাদেরকে ধরে রাখতে হবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘জাকেরের সাহস আছে। তার বল মারার সামর্থ্য আছে। তার টেকনিক খুবই ভিন্ন। তার যেহেতু সাহস ও ক্যারেক্টার আছে আপনাকে তাকে নিয়ে কাজ করতে হবে। জাকের অনেক কঠোর পরিশ্রমী তাকে শেখানো যায়। সে নিজেও শিখতে আগ্রহী।’
জাকেরের পাশাপাশি সাদমান, শাহাদাতের মতো ক্রিকেটারদের নিয়েও প্রশংসা করেছেন বিশপ। তাদের নিয়ে লম্বা সময়ের জন্য চিন্তা করতে বলছেন জনপ্রিয় এই ধারাভাষ্যকার। বাংলাদেশের বর্তমান উত্থান-পতনটা পার করতে পারলে দারুণ কিছু হবে বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি তিন সংস্করণে ভালো করতে ক্রিকেটারদের পুল তৈরিতে মনোযোগ দিতে বলছেন বিশপ।
তিনি বলেন, ‘তিন সংস্করণে ভালো করার বিষয়টি নির্ভর কর আপনার পুল কতটা বড়। ভালো হবে একটি বা দুটি ফরম্যাট দিয়ে শুরু করা। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ ভালো করছে। এখন শুধু সীমানাটা পার করতে হতে হবে। ব্যাটিংয়েও তাদের তিন-চারজন আছে তাদেরকে ধরে রাখতে হবে। সাদমান, শাহাদাত, জাকের আলী আছে। তাদের নিয়ে লম্বা সময়ের জন্য চিন্তা করতে হবে। তারা যদি উত্থান পতনটা পার করতে পারে তাহলে দারুণ হবে।’
নাহিদ রানা, তাসকিন আহমেদসহ পুরো বোলিং ইউনিটের প্রশংসা করে বিশপ বলেন, ‘বাংলাদেশের পুরো বোলিং গ্রুপটা খুবই ভালো। তাসকিন, হাসান ও নাহিদ রানা, শরিফুল শুধু এখনই না। আমি সবসময় তাদের প্রশংসা করি। এই চারজনের মধ্যে তিনজনইকেই আমি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট থেকে দেখে আসছি। নাহিদকে এই বছর দেখছি। সে ভিন্ন কিছু যোগ করছে। এটা খুবই দারুণ ব্যাপার। এই বোলিং আক্রমণে ভারসাম্য খুবই ভালো। তাইজুল ও মেহেদি আছে স্পিন বোলিং অপশন হিসেবে। সব মিলিয়ে এটা তাদের পরিপূর্ণ বোলিং লাইনআপ।’