স্টার্কের আগুনে পুড়ল ভারত
ছবি: সংগৃহীত
ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ভারতকে মাত্র ১৮০ রানে অল আউট করে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন এই পেসারই। অ্যাডিলেড ওভালের পেসবান্ধব উইকেটে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে ভারত। তবে চা বিরতির আগেই ভারতের ইনিংস গুটিয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সাদা পোশাকে ৯১তম ম্যাচে স্টার্ক ৪৮ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। এর আগে ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন স্টার্ক এবার নিজের আগের সেই অর্জনকেও ছাপিয়ে গেলেন তিনি।
সেই সঙ্গে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট পাওয়ার আক্ষেপও মিটিয়েছেন এই ম্যাচে। যদিও শুরুর ধাক্কা প্রায় সামলেই দিয়েছিলেন লোকেশ রাহুল ও শুভমান গিল। দুজনে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেছিকেন ৬৯ রান। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই আবারও ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় ভারতের ব্যাটিং অর্ডার। মাত্র ১২ রানের মধ্যে তারা হারায় আরও ৩ উইকেট। রাহুল ৩৭ ও গিল ৩১ রান করে বিদায় নেন।
৪ উইকেটে ৮২ রান দিয়ে দ্বিতীয় সেশন শুরু করা সফরকারীরা এরপর আর কোনো ভালো জুটি পায়নি। আগের টেস্টে ছুটিতে থাকা রোহিত শর্মা এদিন মিডল অর্ডারে নেমে ভালো কিছু করতে পারেননি। ২৩ বলে করেন মাত্র ৩ রান। আর ঋষভ পান্ত ফেরেন ৩৫ বলে ২১ রান করে। সপ্তম উইকেটে ভারতের হাল ধরেছিলেন নীতিশ কুমার রেড্ডি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে জুটির হাফ সেঞ্চুরির আগেই ভেতরে ঢোকা ইয়র্কারে অশ্বিনকে ফেরান স্টার্ক।
২২ বলে ২২ রান করে আউট হন তিনি। তাতেই রেড্ডির সঙ্গে তার জুটি ভাঙে ৩২ রানে। সেই ওভারেই দুই বলের বিরতি দিয়ে হার্শিদ রানাকে বোল্ড করেন স্টার্ক। এরপর জসপ্রিত বুমরাহকে রানের খাতা খুলতে দেননি প্যাট কামিন্স। দ্রুত বেশ কিছু উইকেট হারানোর পর কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলে চাপ সরাতে চেয়েছিলেন রেড্ডি। স্কট বোল্যান্ডের করা ৪২তম ওভারে দুটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকান এই ভারতীয় ব্যাটার।
সেই ওভার থেকে আসে ২১ রান। এরপরও বড় শট খেলতে গিয়ে স্টার্কের বলে ট্রাভিস হেডের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৫৪ বলে ৪২ রান করা এই ব্যাটার। তাতেই শেষ হয় ভারতের ইনিংস। মোহাম্মদ সিরাজ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪ রান করে। জবাবে খেলতে নেমে ১ উইকেটে ৮৬ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। ১৩ রান করা উসমান খাওয়াজা আউট হয়ে গেলেও বাকি সময়টা বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন ম্যাকসুয়েনি ও মার্নাস ল্যাবুশেন। ম্যাকসুয়েনি ৩৮ ও ল্যাবুশেন ২০ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন।