সালাহউদ্দিনে মুগ্ধ হলেও বারবার কোচ পরিবর্তনে ক্ষতি দেখছেন বুলবুল

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল, মানছেন সালাহউদ্দিনও
২৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
বারবার কোচ পাল্টে ফেলার সংস্কৃতি বাংলাদেশে যথেষ্ট পুরোনো। সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকল চান্ডিকা হাথুরুসিংহের বিদায়ে এবং ফিল সিমন্সের আগমনে। সঙ্গে সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনও। সালাহউদ্দিনকে স্বাগত জানালেও বারবার কোচ পরিবর্তনের পক্ষে নন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
গেল কয়েক বছরে বারবার প্রধান কোচ পাল্টেছে বাংলাদেশ। ২০১৯ বিশ্বকাপ ব্যর্থতার জের ধরে বিদায় করা হয় স্টিভ রোডসকে। এরপর রাসেল ডমিঙ্গোকে এনেও বেশিদিন রাখতে পারেনি বাংলাদেশ।
কয়েকটি আইসিসি ইভেন্টে ব্যর্থতার কারণে একসময় ডমিঙ্গোকেও বিদায় করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরপর তৎকালীন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ডাকে আবারও ফেরানো হয় হাথুরুসিংহেকে। রোডসের আগে হাথুরুসিংহেই ছিলেন জাতীয় দলের অভিভাবক।

কিন্তু দ্বিতীয় দফাও সুখকর হয়নি হাথুরুসিংহের। পাকিস্তানের মাটিতে তাদের ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেও বেশিদিন কোচ থাকতে পারেননি তিনি। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে বিদায় করে ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন বিসিবি। এবার এলেন ফিল সন্ট। কোচিংয়ে এমন পরিবর্তন চান না বুলবুল।
কলকাতার নতুন সহকারী কোচ গিবসন
৮ মার্চ ২৫
তিনি বলেন, 'আমি কোচ পরিবর্তন করার পক্ষে না। কেননা কোচ পরিবর্তন করা মানে একজন ডাক্তার পরিবর্তন করা। একটা কোচ তার প্লেয়ারদের শুধু স্কিল নিয়ে কাজ করে না। প্লেয়ারদের সাইকোলজি নিয়েও কাজ করে। ঘনঘন কোচ পরিবর্তন একটা দলের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর ব্যাপার। এখানে পারফরম্যান্সের একটা বড় ঘাটতি হয়।'
'জাতীয় দলে যারা কোচ হয় তারা কিন্তু স্কিল শেখায় না, ট্যাকটিস শেখায় না। তারা কাজ করে মানসিক অবস্থা নিয়ে। এখানে ভাষা একটা বড় ব্যাপার, সংস্কৃতি একটা বড় ব্যাপার। আর যদি নতুন কোচ বারবার পরিবর্তন হতে থাকে এতে কোনো উপকার হয় না, অপকারই হয়।'
বছর পনেরো আগে বাংলাদেশের সহকারী কোচের দায়িত্বে ছিলেন সালাহউদ্দিন। লম্বা সময় পর আরও বেশি পরিণত হয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলে আবারও সহকারী কোচ হিসেবে ফিরলেন তিনি। দেশের অন্যতম সেরা এই কোচকে কোচিং প্যানেলে দেখে আনন্দিত বুলবুল।
শারজাহতে গতকাল বাংলাদেশের ম্যাচের পর তিনি আরও বলেন, 'সালাহউদ্দিন এর আগেও সহকারি কোচ ছিল। সালাহউদ্দিনের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। সে খুবই সফল কোচ। সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে সে বাংলায় কথা বলে, বাংলাদেশের সংস্কৃতি জানে। উপমহাদেশে কোচিংয়ের তিনটা ভাষা ব্যবহার করা যায়। একটা হচ্ছে তুই, একটা তুমি এবং একটা আপনি।'
'সালাহউদ্দিনের সাথে বেশীরভাগ ক্রিকেটারের সম্পর্ক হচ্ছে 'তুই'। এটা একটা বড় সুবিধা, এটায় কাছের করে নেয়া যায়। সালাহউদ্দিনের অভিজ্ঞতা, ওর মান প্লেয়ারদের সাইকোলিজি বোঝা- সবমিলিয়ে সে দারুণ চয়েস।'