প্রথম ইনিংসে ৩৭১ রানে অল আউট হওয়া অস্ট্রেলিয়া থেকে এখনো ১৫৮ রানে পিছিয়ে দলটি। আর তাই সিরিজ বাঁচিয়ে রাখার আশা ইংল্যান্ডের জন্য ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে এসেছে। ইতোমধ্যেই সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে হেরেছে দলটি।
অস্ট্রেলিয়া দলে ফেরা প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়ন ইংল্যান্ড ইনিংসের শুরু থেকেই প্রভাব ফেলতে থাকেন। কামিন্স তিন উইকেট নেন, দুই উইকেট নেন লায়ন। প্রথম সেশনে মাত্র ১৫ বলের ব্যবধানে শুরুর তিন উইকেট হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। জ্যাক ক্রলি ৯, অলি পোপ তিন এবং বেন ডাকেট ২৯ রানে ফিরে গেছেন।
কামিন্সের বলে ক্রলি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন, ডাকেটকে বোল্ড করেন লায়ন। এরপর কামিন্স আবারও জো রুটকে (১৯) আউট করেন। ৪২ রানে তিন উইকেট হারানো দলটি ৭১ রানে চতুর্থ উইকেট হারায়।
স্টোকস ও হ্যারি ব্রুকের মধ্যে পঞ্চম উইকেটে ৫৬ রানের জুটি ইংল্যান্ডের ইনিংসকে কিছুটা এগিয়ে নেয়। ৬৩ বলে ৪৫ রান করা এই ব্যাটার উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। তার বিদায়ের পর ইনিংস দ্রুত ভেঙে পড়ে।
তার মতো উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জেমি স্মিথ (২২) এবং উইল জ্যাকসও (৬)। শেষদিকে জফরা আর্চার কিছুক্ষণ স্টোকসের সঙ্গে টিকে থাকলেও অস্ট্রেলিয়ার লিড তখনও ১৫০-র ওপরে। স্টোকসের সঙ্গী হিসেবে ৪৮ বলে ৩০ রানে অপরাজিত আছেন আর্চার।
এর আগে প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়ার রান আরও বেশি হতে পারত বলেই মনে হচ্ছিল, যদিও অ্যালেক্স ক্যারির প্রথম অ্যাশেজ সেঞ্চুরি দলকে ৩০০ পেরোতে সাহায্য করে। স্টার্কের ৭৫ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে চারশর কাছে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের হয়ে আর্চার স্টার্ক ও লায়নকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন।
এ দিনও স্নিকো প্রযুক্তি নিয়ে বিতর্ক থামেনি। জেমি স্মিথের আউট দেয়া, আগের দিনের অ্যালেক্স ক্যারির বেঁচে যাওয়া, সব মিলিয়ে দুই দলই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। স্মিথের ক্ষেত্রে হেলমেটে নাকি গ্লাভসে লেগেছে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছিল। একইভাবে জো রুটও একবার বেঁচে যান।