অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার আগে বাজবল ক্রিকেটে ভারতের সঙ্গে ড্র করে ইংল্যান্ড। সিরিজ জিততে না পারলেও দুর্দান্ত ক্রিকেটে সবার মন জয় করে নিয়েছিলেন ইংলিশরা। অ্যাশেজের আগে এমন একটা সিরিজ কাটিয়ে আত্মবিশ্বাসীই ছিল তারা। বেশিরভাগের ধারণা ছিল, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইংল্যান্ডের বাজবল ক্রিকেটে জমে উঠবে পুরো অ্যাশেজ। প্রথম দুই টেস্টে অবশ্য এসবের ছিঁটেফোঁটাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পার্থে দুই ইনিংসের একটিতেও দুইশ ছুঁতে পারেনি ইংল্যান্ড। ট্রাভিস হেডের অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরিতে দুদিনেই ম্যাচ হেরে সফরকারীরা। ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ব্রিসবেনেও। গোলাপি বলের টেস্টে রুটের সেঞ্চুরির পরও প্রথম ইনিংসে ৩৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি স্টোকসের দল। সফরকারীদের ছন্নছড়া বোলিং কাজ লাগিয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে তোলে ৫১১ রান। অজিদের চেয়ে ১৭৭ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৪১ রানে থামে তারা।
৬৫ রানের সহজ লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়া পেরিয়ে গেছে ৮ উইকেট হাতে রেখেই। পাঁচ টেস্টের সিরিজে ২-০ তে পিছিয়ে পড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ইংল্যান্ড। স্টোকস জানান, চাপ সামলাতে না পারার কারণেই এমন দশা হয়েছে তাদের। মাঝে মাঝে কিছু জায়গায় নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলেও সেটা নিজেরােই হাত ফসকে বেরিয়ে যেতে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক।
স্টোকস বলেন, ‘খুবই হতাশাজনক। আর এর মূল কারণ চাপের মুখে দাঁড়াতে না পারায়। মাঝেমধ্যে অল্প সময়ের জন্য আমরা লড়াই কিছুটা নিয়ন্ত্রণে করতে পেরেছি এবং এরপর আমরাই সেটা আবার হাত ফসকে বেরিয়ে যেতে দিয়েছি। এই সপ্তাহে আমরা আবারও এমনটা করেছি, যা এটা খুবই হতাশার। বিশেষ করে, আমাদের ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়দের সামর্থ্যের বিবেচনায় চিন্তা করলে।’
ভিন্ন আরেকটি প্রশ্নে তিনি যোগ করেন, ‘যখনই ম্যাচে চাপের মুহূর্ত আসছে, অস্ট্রেলিয়া আমাদের থেকে ভালো পারফর্ম করছে। তারা বলে, অস্ট্রেলিয়া দুর্বল লোকের জায়গা না। আমরা অবশ্যই দুর্বল নই, তবে আমাদেরকে (জয়ের জন্য) উপায় খুঁজে বের করতে হবে, কারণ আমরা ২-০ তে পিছিয়ে। এখনও তিন ম্যাচ বাকি আছে এবং আমাদেরকে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে জয় পাওয়াটা মোটেও সহজ নয়। এমনকি পারফর্মার হিসেবে পারফর্ম করাও বড্ড কঠিন। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে রুটের নাম। বেশ কয়েকটি সফর করলেও অস্ট্রেলিয়াতে এবারই প্রথম পেয়েছেন টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা। বলা হয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়া দুর্বল মানুষদের জন্য নয়।
স্টোকস জানান, তাঁর ড্রেসিংরুমেও দুর্বল মানুষদের কোন জায়গায় নেই। বিবিসি টেস্ট ম্যাচ স্পেশালকে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বলেন, ‘এখানে আমি অনেকবার বলেছি- অস্ট্রেলিয়া দুর্বল মানুষদের জন্য নয়। আর আমি যে ড্রেসিংরুমের অধিনায়ক সেখানেও দুর্বল মানুষদের জায়গা নেই।’