যদিও চূড়ান্ত একাদশে মার্ক উড নাকি বশির খেলবেন তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইংল্যান্ড। মূলত পার্থের পেস বোলিং বান্ধব উইকেটের সুবিধা নিতেই শুধু পেস বোলারদের নিয়েই নিজেদের একাদশ সাজাতে পারে ইংল্যান্ড। সিরিজের প্রথম ম্যাচে খেলার জন্য উডকে আগেই সম্পূর্ণ ফিট ঘোষণা করা হয়েছে মেডিকেল টিম।
ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে হ্যামস্ট্রিং টান ধরা পড়লেও তিনি সেরে উঠেছেন সিরিজ শুরুর আগেই। মঙ্গলবার পার্থে ৪০ মিনিট নেটে বল করেছেন ইংলিশ এই পেসার। বুধবার দুই ওভার বোলিংয়ের পর হালকা ফিল্ডিং ড্রিলেও অংশ নিয়েছেন তিনি। এরপর স্টেডিয়ামের কিউরেটর আইজ্যাক ম্যাকডোনাল্ডের সাথে পিচ নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে তাকে।
২০২১-২২ অ্যাশেজে উড ছিলেন ইংল্যান্ডের সেরা পেসার। ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন ২৬.৬৪ গড়ে। সেই অভিজ্ঞতাই এবার উজার করে দিতে চাইবেন ইংলিশ এই গতিময় পেসার। সেবার হোবার্ট টেস্টে ক্যারিয়ারসেরা ৩৭ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। সেই ম্যাচেও সম্পূর্ণ পেস বোলিং উইকেট নিয়ে মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড।
যদিও ইংল্যান্ড নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছিল ম্যাচ শেষে। তাদের স্পিনার না নিয়ে নামা কৌশলগত ভুল ছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছিলেন। এমনকি অলিভার রবিনসন বেশ কয়েক ওভার অফ স্পিন বোলিং করেছিলেন সেই ম্যাচে। এদিকে বশিরও একাদশে থাকার জন্য যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী।
বিশেষ করে তার উচ্চতা এবং বলের রিলিজ পয়েন্ট অস্ট্রেলিয়ার পেস বান্ধব উইকেটেও পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। এই মাঠে নাথান লায়ন অন্যতম সফল স্পিনার। এই অজি স্পিনার ২০.৮৬ গড়ে পাঁচ টেস্টে ২৯ উইকেট নিয়েছেন। লায়নের চেয়ে অভিজ্ঞতা ও সাফল্যে অনেকটাই পিছিয়ে বশির। সুযোগ পেলে তাকে নিশ্চিতভাবেই প্রমাণ করতে হবে।
ইংল্যান্ড স্কোয়াড-
বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জফরা আর্চার, গাস অ্যাটকিনসন, শোয়েব বাশির, হ্যারি ব্রুক, ব্রাইডন কার্স, জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, অলি পোপ, জো রুট, জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার) ও মার্ক উড।