কলকাতায় পা রাখার পর বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেয়া সাক্ষাৎকারে গম্ভীর জানান ভারতের টি-টোয়েন্টি দল শুধু ব্যাটিংয়ে নয়, বোলিংয়েও আক্রমণাত্মক হতে চায়। তার কথায় বুমরাহকে শুরুতেই তিন ওভার করানো সেই কৌশলেরই অংশ। অভিষেক শর্মাদের মতো তরুণ ব্যাটাররা যেমন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নামছে, তেমনই বোলিংয়েও একই রকম মানসিকতা চাইছেন কোচ।
গম্ভীর বলেন, 'অনেকেই আমাদের টি-টোয়েন্টি দলকে দেখে আগ্রাসী ব্যাটিং দল বলে। আমার মনে হয় পাওয়ার প্লে'তে বুমরাহকে দিয়ে তিন ওভার বল করানোও আগ্রাসনের একটা ধরন। আমরা এমন দল হতে চাই না যেখানে শুধু ব্যাটিংয়ের আগ্রাসনটাই নজরে পড়ে। গোটা দলটাই যাতে আগ্রাসী লাগে, সেই কাজ করছি।'
বুমরাহকে শুরুতেই ব্যবহার করার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, 'আমরা দেখতে চাই ব্যাপারটা কেমন কাজ করছে। ভবিষ্যতের কৌশল নির্ধারণে এটি সাহায্য করবে। এশিয়া কাপে কৌশলটা ভালো ফল দিয়েছে, বেশির ভাগ ম্যাচেই পাওয়ার প্লে আমাদের পক্ষে গিয়েছে।'
ভারতের কোচের মতে, শুরুটা ভালো হলে পরের ওভারগুলোতে স্পিনাররা আরও স্বাধীনভাবে আক্রমণ করতে পারে। এ ছাড়াও তার অধীনে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে এখন একাধিক অলরাউন্ডার রাখা হচ্ছে। গম্ভীরের মতে, দলের ভারসাম্যের জন্য সাতজন পর্যন্ত বোলার রাখা দরকার।
'মাঝের দিকে উইকেট নেয়ার জন্য বরুণ এবং কুলদীপ তো রয়েছেই। শুরুটা ভালো হলে ওরা নিজের ছন্দে বল করতে পারে। ফলে গোটা ম্যাচজুড়ে উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ে। এটা আগ্রাসী কৌশল তো বটেই।'
'যত বেশি অলরাউন্ডার থাকবে তত ভালো। কম বিকল্পের থেকে বেশি বিকল্প থাকা সবসময় ভালো। ওরা (ওয়াশিংটন সুন্দর ও অক্ষর প্যাটেল) শুধু উপমহাদেশেই নয়, বিশ্বকাপেও ভালো খেলবে। ভারতের সাম্প্রতিক সাফল্যে ওয়াশির বোলিং বড় ভূমিকা নিয়েছে, আর অক্ষরও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট ও বল সবখানে অবদান রাখছে।'