ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে ১৪৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফেরেন ফখর। নান্দ্রে বার্গারের দারুণ এক ডেলিভারিতে ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। টানা দুই ম্যাচেই ডাক মেরেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ফখর ফেরার পর জুটি গড়ে তোলেন সাইম ও বাবর। তাদের দুজনের ব্যাটেই পাওয়ার প্লে পার করে পাকিস্তান। যেখানে এক উইকেটে ৫৯ রান তোলে তারা।
যদিও পাওয়ার প্লে শেষ হতেই আউট হয়েছেন বাবর। রান আউট হয়ে ফেরার আগে ৩২ বলে ২৭ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। বাবর ফেরার পর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানকে এগিয়ে নিতে থাকেন সাইম। শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করছিলেন তিনি। ওমন ব্যাটিংয়ে ৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তাদের দুজনের ৬৫ রানের জুটি ভাঙে সাইমের বিদায়ে।
১১ চার ও এক ছক্কায় ৭০ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে বিজর্ন ফরটুইনের বলে আউট হয়েছেন সাইম। পরবর্তীতে সালমানকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেছেন রিজওয়ান। পাকিস্তানের ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৪৫ বলে ৩২ রান করে। আরেক ব্যাটার সালমান ২ বলে ৫ রান করেছিলেন। সাউথ আফ্রিকার হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন ফরটুইন ও বার্গার।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান যোগ করেন প্রিটোরিয়াস ও ডি কক। যেখানে পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে তারা দুজনে তোলেন ৪৭ রান। তাদের জমে ওঠা জুটি ভাঙেন সালমান। ডানহাতি অফ স্পিনারের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলার চেষ্টায় লং অফে বাবরের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৯ রান করা প্রিটোরিয়াস। একটু পর ফিরেছেন তিনে নামা টনি ডি জর্জি। ২ রান করা বাঁহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন সালমান।
দ্রুত দুই উইকেটে হারানোর পর ৬৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ডি কক। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা বাঁহাতি এই ওপেনার পরবর্তীতে আউট হয়েছেন ৫৩ রানে। ডি কক ফেরার পর ধস নামে সাউথ আফ্রিকার ব্যাটিং ইউনিটে। আবরারের স্পিন বুঝতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ১৪৩ রানে অল আউট হয়েছে সফরকারীরা। পাকিস্তানের হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন আবরার। দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন সালমান ও শাহীন আফ্রিদি।