৪২ বছর পর ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল নিউজিল্যান্ড

আন্তর্জাতিক
৪২ বছর পর ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল নিউজিল্যান্ড
৪২ বছর পর ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল নিউজিল্যান্ড, ফাইল ফটো
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আরো একবার ব্যর্থ হয়েছে ইংল্যান্ড। ওয়েলিংটনে সিরিজের শেষ ম্যাচেও হার মেনেছে তারা। ফলে ৩–০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হলো ইংল্যান্ড। এর আগে ১৯৮৩ সালে ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজের সবগুলো ম্যাচ জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। ৪২ বছর পর ইংল্যান্ডকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে পারল তারা।

টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪০.২ ওভারে ইংল্যান্ড অলআউট হয় ২২২ রানে। আগের দুই ম্যাচের মতো এবারও তাদের টপ অর্ডার ব্যর্থ। তবে জেমি ওভারটনের ব্যাটে কিছুটা লড়াই জমে ওঠে।

সিরিজের আগের দুটি ম্যাচে ৩৬ ওভারের মধ্যেই গুটিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। আজকের চিত্র তেমন আলাদা ছিল না। ৪৪ রানে পাঁচ উইকেট পড়ার পর ওভারটন ও ব্রাইডন কার্স কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। ওভারটন করেন ৬২ বলে ৬৮ রান, কার্স যোগ করেন ৩০ বলে ৩৬ রান। ছয়ে নামা জস বাটলার করেন ৫৬ বলে ৩৮ রান।

বোলিং সহায়ক এই পিচে ইংল্যান্ডের প্রথম চার ব্যাটার মিলে তিন ম্যাচে মোটে ৮৪ রান করেন। ওয়ানডে সিরিজে এটি নতুন রেকর্ড (যেখানে কোনো দল অন্তত তিনটি ইনিংসে ব্যাটিং করেছে)। এর আগে সর্বনিম্ন ছিল বাংলাদেশের। ১৯৮৮ এশিয়া কাপে প্রথম চার ব্যাটার মিলে করেছিলেন ৮৯ রান।

২২৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড শুরুটা দারুণ করে। ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র মিলে ৭৮ রানের জুটি গড়েন। তবে কনওয়ে ৩৪ রানে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হলে ভাঙে সেই জুটি।

এরপর একইভাবে রান আউট হয়ে ফেরেন অধিনায়ক টম লাথামও। মাঝের ওভারে ওভারটন ও স্যাম কারেনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে পড়ে যায় কিউইরা। একসময় তাদের স্কোর ছিল ১৯৬ রানে আট উইকেট।

তখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ যেন ইংল্যান্ডের হাতেই চলে গিয়েছিল। কিন্তু নবম উইকেটে দুই পেসার জাকারি ফোকস ও ব্লেয়ার টিকনার গড়েন ম্যাচ জেতানো জুটি। ৩৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩০ রানে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তারা। দুই উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে কনওয়ে ৩৪, রাচিন ৪৬, মিচেল ৪৪, মিচেল সান্টনার ২৭ রান করেন। শেষদিকে ফোকস ২৪ বলে ১৪ এবং টিকনার ২০ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থেকে দল জেতান। ইংল্যান্ডের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ওভারটন এবং স্যাম কারান। একটি করে উইকেট নেন কার্স এবং আদিল রশিদ।

আরো পড়ুন: ইংল্যান্ড