টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক বাবর। এই সংস্করণে তার সংগ্রহ চার হাজার ২২৩ রান, গড় প্রায় ৪০। ৩৬টি হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি আছে তিনটি সেঞ্চুরি। তবে স্ট্রাইক রেট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচনায় ছিলেন তিনি। যার কারণে একসময় দল থেকে ছিটকে যান তিনি।
গত বছরের ডিসেম্বরে সাউথ আফ্রিকা সফরের পর থেকে টি–টোয়েন্টি দলে সুযোগ পাননি বাবর। যদিও এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ব্যাটিং ব্যর্থতার পরই তার ফেরার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটিই সত্যি হলো।
দলে ফিরেছেন পেসার নাসিম শাহও। ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপে ছিলেন না তিনি। অবশ্য পাকিস্তানের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসেনি। টি–টোয়েন্টি দলে সালমান আলী আঘাই থাকছেন অধিনায়ক। দলটিতে নতুন মুখ অফ স্পিনার উসমান তারিক, যিনি সর্বশেষ সিপিএলে ২০ উইকেট নিয়ে নজর কেড়েছিলেন।
মূল দল থেকে বাদ পড়েছেন ফখর জামান ও হারিস রউফ; তারা থাকছেন রিজার্ভে। এশিয়া কাপে খেলা মোহাম্মদ হারিস এবার জায়গা পাননি। সিরিজের তিন ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরে, ২৮ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর একই ভেন্যুতে ১৭–১৯ নভেম্বর হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ।
এ সফরে টেস্ট ও টি–টোয়েন্টির পাশাপাশি ওয়ানডেও খেলবে সাউথ আফ্রিকা। তিন ম্যাচের সিরিজ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আরেকটি তিন ম্যাচের ওয়ানডের জন্য আলাদা ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। সেই দলে আছেন অধিনায়কত্ব হারানো মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফয়সাল আকরাম, হারিস রউফ ও হাসিবউল্লাহ। সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে ১১ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে।
পাকিস্তানের টি–টোয়েন্টি দল: সালমান আলী আঘা (অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, আবদুল সামাদ, বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ, হাসান নেওয়াজ, মোহাম্মদ নেওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, সালমান মির্জা, নাসিম শাহ, সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, শাহীন শাহ আফ্রিদি, উসমান খান (উইকেটরক্ষক), উসমান তারিক। রিজার্ভ: ফখর জামান, হারিস রউফ, সুফিয়ান মুকিম।
পাকিস্তানের ওয়ানডে দল: শাহীন শাহ আফ্রিদি, আবরার আহমেদ, বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ, ফয়সাল আকরাম, ফখর জামান, হারিস রউফ, হাসিবউল্লাহ, হাসান নেওয়াজ, হুসেইন তালাত, মোহাম্মদ নেওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ওয়াসিম জুনিয়র, নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুব ও সালমান আলী আঘা।