কেননা ঠিক কী কারণে শামিকে নেয়া হয়নি, তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার। তিনি শুধু বলেছেন, শামির ফিটনেস নিয়ে তার কাছে কোনো আপডেট নেই। এমনকি শামি চোটে আছেন কি না, সেটাও জানেন না বলে জানান আগারকার।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শামি। তিনি বলেন, ‘আপডেট দেয়া বা জিজ্ঞেস করা শুধু আমার দায়িত্ব নয়। আমার কাজ হলো এনসিএতে যাওয়া, অনুশীলন করা আর ম্যাচ খেলা। উনি (আগারকার) কার কাছে যান বা যান না, সেটা ওনার বিষয়। এটা আমার দায়িত্ব না।’
অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে জায়গা না পাওয়ায় হতাশ হয়েছেন শামি, ‘আমি আগেও বলেছি, দলে কারা থাকবে, সেটা নির্বাচকেরা ঠিক করেন। কিন্তু যদি আমার ফিটনেসে সমস্যা থাকত, তাহলে আমি রঞ্জি ট্রফিতে খেলতাম না। আমি যদি চার দিনের ম্যাচ খেলতে পারি, তাহলে ওয়ানডে খেলতেও পারি।’
চোট থেকে সেরে উঠে শামি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন নিয়মিত। শেষবার ভারতের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও খেলতে দেখা যায় এই পেসারকে। এমনকি আইপিএল এবং দুলীপ ট্রফিতেও খেলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অ্যাঙ্কেল আর হাঁটুর চোটের পর আমি কিছু ম্যাচ খেলেছি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, আইপিএল, দুলীপ ট্রফি খেলেছি। এখনো নিয়মিত অনুশীলন করছি। তাই বলা যাবে না যে আমি ফর্মে নেই।’
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দারুণ বোলিং করেছিলেন শামি। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন একই রকম পারফর্ম করা যায় না। ওই বিশ্বকাপে আমি ভালো করেছি, কিন্তু এরপর চোট পেয়েছি। ব্যথা নিয়ে খেলতে চাইনি, কারণ তাতে দলের ক্ষতি হতে পারত। এখন আবার আগের মতো ফিরে আসার চেষ্টা করছি।’
সুযোগ পেলে আবারও জাতীয় দলে খেলার জন্যে মুখিয়ে আছেন শামি। আপাতত রাজ্য দলের হয়েই খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, ‘আমার কাজ হলো অনুশীলন করা, খেলা চালিয়ে যাওয়া। ভালো খেললে সুযোগ আসবেই। না ডাকলে কোনো সমস্যা নেই, আমি বাংলার হয়েই খেলব।’