পদক দেয়ার পেছনে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তানের ‘মর্যাদা রক্ষা’ ও ‘সাহসিক ভূমিকা’। এশিয়া কাপের ফাইনালের পরের পরিস্থিতি বিশেষভাবে এতে প্রভাব রেখেছে।
ম্যাচ শেষে ট্রফি বিতরণের সময় ভারতীয় খেলোয়াড়েরা পিসিবি প্রধানের হাত থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানান। তখন নাকভি ট্রফি হোটেলে ফিরিয়ে নেন। পরে তিনি বলেন, ‘আমার হাত থেকে না নিলে ট্রফিই দেব না।’
এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাকভি লেখেন, ‘ভারত যদি সত্যি সত্যিই ট্রফি নিতে চায়, তবে এসিসির সদর দপ্তরে এসে নিতে পারে। তাদের স্বাগতই জানানো হবে।’
ভারতের দিক থেকে তার বক্তব্যের সমালোচনা করা হয় এবং ক্ষমা চাওয়ার দাবিও ওঠে। কিন্তু নাকভি বলেছেন, ‘আমি ভুল কিছু করিনি, তাই বিসিসিআইয়ের কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
সম্মানজনক এই পদক প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন সিন্ধ ও করাচি বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট গুলাম আব্বাস জামাল। পাকিস্তানি দৈনিক দ্য নেশন জানিয়েছে, নাকভির অবস্থানকে ‘সাহসিক’ বলেই তাকে সম্মানিত করা হচ্ছে।
পুরস্কার দেয়ার তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি। তবে আয়োজকেরা জানিয়েছেন, পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে পুরস্কার তুলে দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সময় পাওয়া গেলে করাচিতে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।