সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল নেপাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য তাই শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়ায় সম্মান রক্ষার লড়াই। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৬ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে তারা।
ম্যাচে আগে বোলিং করে ভালোভাবেই শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক বল বাকি থাকতে ১২২ রানে অলআউট করে দেয় নেপালকে। বাঁহাতি পেসার র্যামন সিমন্ডস ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৫ রানে নেন চার উইকেট, পান ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি।
নেপালের ব্যাটিং শুরুটা যদিও ছিল ইতিবাচক। ৭ ওভারে আসে ৪১ রানের উদ্বোধনী জুটি। তবে এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। ওপেনার কুশল ভুর্তেল ২৯ বলে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন, তবে বাকিরা বড় ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ রান আসে অধিনায়ক রোহিত পাওড়েলের ব্যাটে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আমির জাঙ্গু ও আকিম ওগিসের উদ্বোধনী জুটি একদম শেষ করে দেয় ম্যাচ। জাঙ্গু খেলেন ৪৫ বলে ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, মারেন ছয়টি ছক্কা ও পাঁচটি চার। ওগিস করেন ২৯ বলে ৪১ রান, তাতে ছিল চারটি চার ও দুটি ছক্কা।
নেপালের ফিল্ডিং এ দিন মানানসই ছিল না আগের ম্যাচগুলোর সঙ্গে। সহজ ক্যাচ ফেলেন ফিল্ডাররা, কয়েকটি বল গড়িয়ে যায় বাউন্ডারিতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাওয়ার প্লেতে তোলে ৪৭ রান, জাঙ্গু ফিফটি পূর্ণ করেন ৩৮ বলে।
জাঙ্গু ও ওগিস দুজনেরই ছিল টি-টোয়েন্টি অভিষেক সিরিজ। শেষ ম্যাচে দুজনের ব্যাটিংয়ে দল পায় এই সংস্করণে তাদের প্রথম ১০ উইকেটের জয়। শেষ ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের পাশাপাশি নিজের ফিফটিও পূর্ণ করেন জাঙ্গু।
সিরিজ হারলেও ব্যাটে-বলে শেষ ম্যাচে দারুণভাবে ফিরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অপরদিকে, এই সিরিজে নেপালের বড় প্রাপ্তি—প্রথমবার কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে ম্যাচ ও সিরিজ জয়। দুই জয়ই আসে দারুণ ব্যবধানে; প্রথম ম্যাচে ১৯ ও দ্বিতীয়টিতে ৯০ রানে।