এই ম্যাচে রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তারা তুলে ফেলেছে ৩০৪ রান। পুরো ম্যাচে ৩০ চার আর ১৮ ছক্কায়! দুই পূর্ণ সদস্য দলের মধ্যে এত রান আগে কখনও হয়নি। এর আগে ভারতের ২৯৭ ছিল সর্বোচ্চ, বাংলাদেশের বিপক্ষে।
ফিল সল্ট খেলেছেন অবিশ্বাস্য এক ইনিংস। ৬০ বলে অপরাজিত ১৪১ রান করেন তিনি, মারেন ১৫টি চার আর ৮টি ছক্কা। ইংল্যান্ডের হয়ে এটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান, নিজের আগের রেকর্ড ১১৯ ছাড়িয়ে গেছেন এই ম্যাচে।
উদ্বোধনী জুটিতেই তাণ্ডব দেখায় ইংল্যান্ড। সল্ট ও বাটলার ৪৭ বলে তোলেন ১২৬ রান। বাটলার খেলেন ৩০ বলে ৮৩ রানের ইনিংস। এরপর জ্যাকব বেথেল ও হ্যারি ব্রুক মিলে আরও আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান।
১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ওঠে ১৬৬ রান। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে যেকোনো দলের প্রথম ১০ ওভারে সর্বোচ্চ। পরের ১০ ওভারে রান তুলতে কিছুটা সময় নিলেও ৩০০ পার করতে আর কষ্ট হয়নি। শেষদিকে ব্রুক অপরাজিত থাকেন ২১ বলে ৪১ রানে।
সাউথ আফ্রিকার বোলিং ছিল ছন্নছাড়া। কাগিসো রাবাদা একাই দেন ৭০ রান, যা তার ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ। তিন বোলারই দেন ৬০ রানের বেশি, এমন দৃশ্য আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আগে দেখা যায়নি।
রান তাড়ায় সাউথ আফ্রিকাও শুরুটা ভালো করেছিল। ৩.৩ ওভারে ৫০ রান তুলে তারা ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে শুরু করে। আর্চার, কারান, রাশিদরা মিলে আটকে দেন রানরেট, ভেঙে দেন জুটি।
শেষদিকে বিজন ফরচুন কিছুটা লড়াই করলেও (১৬ বলে ৩২), তাতে লাভ হয়নি। প্রোটিয়ারা অলআউট হয় ১৭ ওভারেই। সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। রোববার ট্রেন্ট ব্রিজে হবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ।