‘অনার্স বোর্ডে’ নাম লেখাতে না পেরে ব্রিটজকের আক্ষেপ

আন্তর্জাতিক
‘অনার্স বোর্ডে’ নাম লেখাতে না পেরে ব্রিটজকের আক্ষেপ
ম্যাচ সেরার পুরষ্কার হাতে ম্যাথু ব্রিটজকে
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
হাফ সেঞ্চুরিকে অভ্যাসে পরিণত করেছেন সাউথ আফ্রিকার ব্যাটার ম্যাথু ব্রিটজকে। ক্যারিয়ারের প্রথম চার ওয়ানডের চারটিতেই পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলে রেকর্ডটা আগেই নিজের করে নিয়েছিলেন তিনি। আগের চার ইনিংসে তার রান ছিল ১৫০, ৮৩, ৫৭ ও ৮৮—যা ওয়ানডে ইতিহাসে ক্যারিয়ারের সেরা সূচনা।

লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। আর তাতেই প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে নিজের প্রথম পাঁচটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭৭ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ব্রিটজকে।

এমন পারফরম্যান্সের পর ম্যাচ সেরার পুরষ্কারও পেয়েছেন তিনি। আর তাতেই সাউথ আফ্রিকা ৩৩০ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায়। আর শেষ পর্যন্ত ৫ রানের নাটকীয় জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে প্রোটিয়ারা। ম্যাচ শেষে ব্রিটজকে জানিয়েছে এই রেকর্ডকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে চান তিনি।

তিনি বলেন, 'এটা আসলে চিন্তার বিষয়, এখন কেবল নিচের দিকেই যাওয়া সম্ভব (পারফরম্যান্স)। আসলে দারুণ এক সূচনা হয়েছে। আমি বেশ কিছু ভালো উইকেটে খেলেছি, আর আমি শুধু আশা করছি এবং প্রার্থনা করছি যেন এভাবে চলতে থাকে… সত্যি বলতে, সেঞ্চুরি করতে না পারায় মন খারাপ হয়েছিল, কারণ অনার্স বোর্ডে নাম উঠলে দারুণ লাগত।'

দারুণ পারফরম্যান্সের কৃতিত্ব কোচকেও দিয়েছেন ব্রিটজকে। তিনি মনে করেন কোচের কি চাওয়া তা খুবই স্পষ্ট করে বলে দেন ক্রিকেটারদের। সেখান থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের রশদ পেয়েছেন তিনি। ব্রিটজকে বলেন, 'এটা আসলে শুরু হয় ওপর থেকে, (কোচ) শুকরি কনরাডের কাছ থেকে… উনি কী চান সেটা খুব স্পষ্টভাবে বলে দেন, কোনো ধোঁয়াশা থাকে না।'

পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও প্রায় একই কথা বলেছেন তিনি। ব্রিটজকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সবই ভালোমতো চলছে (টানা পাঁচ ওয়ানডেতে ফিফটি)। আশা করি এটা চলতে থাকবে। শুরুটা ট্রিকি ছিল। মনে হয়েছিল ২৮০ রানের স্কোরই যথেষ্ট হবে। শুরুটা অনেক ওল্ড-স্কুল ক্রিকেটের মতো ছিল। পরবর্তীতে কন্ডিশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান করেছি।’

দক্ষিণ আফ্রিকা রবিবার সাউদাম্পটনে তৃতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। গত ৮ বছর ধরেই সাউথ আফ্রিকাকে ওয়ানডে সিরিজে হারাতে পারে না ইংল্যান্ড। সর্বশেষ ২০১৭ সালে প্রোটিয়াদের ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই অপেক্ষা আরও বাড়ল ইংল্যান্ডের।

আরো পড়ুন: ম্যাথু ব্রিটজকে