২০০৩ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয় ইরফানের। পরের বছর ওয়ানডে এবং ২০০৬ সালে ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতেও অভিষেক হয় পেস বোলিং অলরাউন্ডারের। ২০১২ সাল পর্যন্ত ভারতের হয়ে ২৯ টেস্ট, ১২০ ওয়ানডে এবং ২৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। তিন সংস্করণ মিলে ২ হাজার ৮২১ রান করার পাশাপাশি ৩০১ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার।
৯ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিন সংস্করণ মিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৬ ম্যাচে ৬৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ৮০৭ রান করেছেন ব্যাট হাতে। তবে পাকিস্তান সফরে গিয়ে খুব বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই তাঁর। ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ১৬ ম্যাচ খেলে ৩৩৯ রান ও ৪০ উইকেট। ২০০৬ সালে পাকিস্তান সফর করার সময় আফ্রিদির সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন ইরফান। ম্যাচ খেলতে বিমানে করে করাচি থেকে লাহোরে যাচ্ছিলেন তারা।
ইরফানের সঙ্গে একই ফ্লাইটে ছিলেন আফ্রিদিও। এমন সময় ভারতীয় অলরাউন্ডারের পাশাপাশি সিটে বসা আফ্রিদি কাছে এসে ইরফানের চুল এলোমেলো করে জানতে চান, কেমন আছো বাবু?’ বাবু বলায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষেপে চান ইরফান। ভারতীয় ক্রিকেটারের দাবি, বাচ্চা বলার পাশপাশি কিছু অপমানজনক কথাও বলেছিলেন তাকে। লাল্লানটপকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ইরফান বলেন, ‘২০০৬ সালের সফরে আমার করাচি থেকে লাহোর যাচ্ছিলাম। দুই দল একই ফ্লাইটে ছিল। আফ্রিদি আমার কাছে এসে হাত দিয়ে আমার চুল এলোমেলো করে দিয়ে বলল, ‘কেমন আছো বাবু? তুমি আমার বাপ হলে কবে থেকে…!!!’ অথচ বাচ্চার মতো আচরণ করছিল সে নিজেই। সে তো আমার বন্ধু নয়! কিছু এরপর কিছু অপমানজনক কথাও বলছিল।’
একই ফ্লাইটে ইরফানের পাশে বসেছিলেন আব্দুল রাজ্জাক। এমন সময় পাকিস্তানের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের সঙ্গে কথা বলে আফ্রিদিকে খোঁচা দিয়েছিলেন ইরফান। ভারতীয় ক্রিকেটারের কথা শুনে অবাক হয়েছিলেন রাজ্জাক। সেই সঙ্গে পুরো বিমান ভ্রমণে আফ্রিদি আর কোনো কথা বলেনি বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে ইরফান এও জানান, আফ্রিদি আবার কিছু বললে আবারও কুকুরের মাংস খেয়ে ঘেউ ঘেউ করার কথা বলতেন তিনি।
ইরফান বলেন, ‘আব্দুল রাজ্জাক তখন আমার সঙ্গে বসে ছিল। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, পাকিস্তানে কোন ধরনের মাংস পাওয়া যায়। সে আমাকে নানা ধরনের মাংসের কথা জানাল। তখন আমি জানতে চাইলাম, কুকুরের মাংস পাওয়া যায় কি না। রাজ্জাক তো অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘এটা বলছো কেন?’
‘আমি তখন বললাম, ‘সে (আফ্রিদি) তো কুকুরের মাংস খেয়েছে, এজন্য এতক্ষণ ধরে শুধু ঘেউ ঘেউ করছে।’ আফ্রিদি শুনে আর কিছু বলতে পারেনি। সে যদি তখন কিছু বলত, আমি আবার বলতাম, ‘দেখো, আবার ঘেউ ঘেউ শুরু করেছে।’ কিন্তু সে পুরো ফ্লাইটে আর কথা বলেনি।’