এশিয়া কাপ না খেলার গুঞ্জন উড়িয়ে দিল ভারত

ছবি: এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত

কাশ্মীরের পেহেলাগামের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালায় ভারত ও পাকিস্তান। যদিও কয়েকদিনের ব্যবধানেই যুদ্ধ বিরতি দেয় দুই দেশই। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সবধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার ডাক দিয়েছিলেন ভারতীয়রা। দেশের লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে ক্রিকেটও। সুনীল গাভাস্কার, সৌরভ গাঙ্গুলী, গৌতম গম্ভীর, বীরেন্দর শেবাগ, শিখর ধাওয়ান, ইরফান পাঠানদের সবার চাওয়া ছিল পাকিস্তানের সঙ্গে যাতে সবধরনের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়।
এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করছে ভারত
১২ ঘন্টা আগে
এমনকি পাকিস্তান আইসিসি কিংবা এসিসির যে সব টুর্নামেন্টে খেলবে সেগুলো যেন ভারত বর্জন করে। যুদ্ধ পরিস্থিতি সামলে উঠলেও নিজেদের অবস্থান থেকে যেন সরে দাঁড়াননি ভারতীয়রা। আইপিএল ও পিএসএল শেষে নিজেদের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে ভারত ও পাকিস্তান। শুভমান গিল, জসপ্রিত বুমরাহরা যখন ইংল্যান্ড সফর করবে তখন দেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবেন বাবর আজমরা।
যদিও মাস কয়েক পরই সেপ্টেম্বরে দুই দেশকে খেলতে হবে এশিয়া কাপ। তবে টুর্নামেন্টের কয়েক মাস আগেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, দুই দেশের সংঘাতের কারণে ছেলেদের এশিয়া কাপ ও নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপে অংশ নেবে না ভারত। মহসিন নাকভি এসিসির প্রধান হওয়ায় বড় জটিলতা তৈরি হয়েছে। কারণ তিনি পিসিবির সভাপতির পাশাপাশি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। ফলে পাকিস্তানের কোনো মন্ত্রীর সিদ্ধান্তে আয়োজিত টুর্নামেন্টে খেলার পক্ষে নয় ভারত।

বাংলাদেশ সফরের সময় হতে পারে আইপিএল, সিরিজ বাতিলের খবর নেই বিসিবির কাছে
৯ মে ২৫
যদিও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এমন গুঞ্জন একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন সাইকিয়া। তিনি জানান আপাতত আইপিএল ও ইংল্যান্ড সফর নিয়ে ভাবছেন তারা। এসিসিকে চিঠি লেখা তো দূরের কথা এমনকি তারা নাকি তাদের সঙ্গে যোগাযোগও করেনি। তাই এশিয়া কাপ থেকে ভারতের সরে দাঁড়ানোর খবরের সত্যতা নেই বলে জানান বিসিসিআইয়ের সচিব। সাইকিয়া বলেন, ‘এশিয়া কাপ ও উইমেন’স ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ, এসিসির এই ইভেন্টে বিসিসিআইয়ের অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আজ সকাল থেকে কিছু খবর আমাদের নজরে এসেছে।’
‘এই ধরনের খবরের কোনো সত্যতা নেই, কারণ এখন পর্যন্ত বিসিসিআই আসন্ন এসিসি ইভেন্টগুলো নিয়ে এসিসিকে কিছু লেখা তো দূরের কথা, কোনো আলোচনাই করেনি বা পদক্ষেপ নেয়নি। এই মুহূর্তে আমাদের মূল মনোযোগ চলমান আইপিএল এবং পরবর্তী ইংল্যান্ড সিরিজ, পুরুষ ও নারী দলের।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এমন খবরকে অনুমাননির্ভর ও কাল্পনিক বলেছেন সাইকিয়া। আইপিএল শেষে কিংবা ইংল্যান্ড সফরকালীন সেপ্টেম্বরে হতে যাওয়া এশিয়া কাপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিসিসিআই। কোনো সিদ্ধান্ত এলে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড নিজেরাই জানিয়ে দেবে জানান সাইকিয়া। এশিয়া কাপে যদি ভারত অংশ না নেয় তাহলে এসিসি কিংবা বাকি দেশগুলো বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।