আমরা ক্রিকেটার—অভিনেতা বা সুপারস্টার নই, তারকা সংস্কৃতি নিয়ে অশ্বিন

ছবি: রবিচন্দ্রন অশ্বিন

মাঠের ক্রিকেটে সবাই ছোট ছোট পারফরম্যান্স করলেও নির্দিষ্ট একজনকে আলাদা করে সবার উপরে জায়গা দেয়ার সংস্কৃতিটা নতুন নয়। ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জেতার পর নায়ক বনে গিয়েছিলেন কপিল দেব। সেই বিশ্বকাপে খেলা বাকিদের নিয়ে যতটা না আলোচনা হয় তার কয়েকগুন বেশি আলোচনা হয় কপিলকে নিয়ে। ২০১১ বিশ্বকাপের পরও এমন ঘটনা ঘটেছে। সেবার ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে অবদান রেখেছিলেন গৌতম গম্ভীর, যুবরাজ সিং, সুরেশ রায়নারা।
ভারতের স্কোয়াডে কেন ৫ স্পিনার, বুঝতে পারছেন না অশ্বিন
১৫ ফেব্রুয়ারি ২৫
পেসার জহির খান, মুনাফ প্যাটেলাও নিজেদের মতো পারফর্ম করেছিলেন এবং বিশ্বকাপ জয়ে অবদান রেখেছিলেন। কিন্তু ভারতে ২০১১ বিশ্বকাপ মানেই যেন ফাইনালে মহেন্দ্র সিং ধোনির সেই হেলিকপ্টার শট। অথচ ফাইনালে ৯৭ রানের ইনিংস খেলে জয়ের ভিত্তিটা গড়ে দিয়েছিলেন গৌতম। ভারতের মিডিয়ার এমন ‘নায়ক পূজা’ নিয়ে সবসময় সরব ছিলেন সাবেক এই ওপেনার। মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দায়ও কম দেখেন না গৌতম।

ভারতের প্রধান কোচ তো একবার বলেও বসেছিলেন, ‘ড্রেসিং রুমে দানব তৈরি করো না।’ গৌতম, গাভাস্কার, ইরফানদের পর ভারতের তারকা সংস্কৃতির বিরোধিতা করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। সবশেষ ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়া অশ্বিন মনে করেন, এগুলোকে তারকা হিসেবে না দেখে ভবিষ্যতের জন্য স্বাভাবিক করা উচিত। সাবেক স্পিনার এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ক্রিকেটাররা কেউ অভিনেতা কিংবা সুপারস্টার না।
৮-১০ বছর বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করার মতো দল আছে আমাদের: কোহলি
১৬ ঘন্টা আগে
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে সবকিছু স্বাভাবিক করা উচিত। আমাদের তারকাখ্যাতি বা সেলিব্রিটি সংস্কৃতিকে অতিরিক্ত প্রচার করা উচিত নয়। আগামী প্রজন্মের জন্য এটি স্বাভাবিক করা প্রয়োজন। আমরা ক্রিকেটার—অভিনেতা বা সুপারস্টার নই। আমরা ক্রীড়াবিদ, আমাদের এমন একজন হতে হবে যাতে সাধারণ তাদের সঙ্গে মেলাতে পারে, তুলনা করতে পারে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘উদাহরণ হিসেবে আপনি যদি রোহিত শর্মা অথবা বিরাট কোহলি হোন, যারা কিনা তাদের ক্যারিয়ারে অনেক কিছু অর্জন করেছে। আপনি যখন আরও একটি সেঞ্চুরি করেন তখন এটা আর তাদের অর্জন থাকে না। এগুলো স্বাভাবিক হওয়া উচিত। ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে আমাদের লক্ষ্য আরও বড় হওয়া উচিত।’