গলে স্পিন উইকেট বানিয়ে ‘শিক্ষা’ হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার

ছবি: দুই টেস্টেই ব্যর্থ লঙ্কান ব্যাটাররা

অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে দিতে সেই মৃত্যুকূপই বানিয়ে রেখেছিল শ্রীলঙ্কা। তবে সেই মৃত্যুকূপে নিজেরাই ‘মরলেন’। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাটিং করে ৬৫৪ রানে ইনিংস ঘোষণা দেয় সফরকারীরা। একই উইকেটে ব্যাটিং করতে নেমে লঙ্কান ব্যাটাররা দাঁড়াতেই পারলেন না। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা গুটিয়ে যায় ১৬৫ রানে। ফলো অনে পড়ে আবারও ব্যাটিংয়ে নেমে ২৪৭ রানে থামতে হয় তাদের।
২৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ হার
১৪ ফেব্রুয়ারি ২৫
সিরিজের প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে হারতে হয়েছে ইনিংস ও ২৪২ রানের ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচেও সুবিধা করতে পারেনি লঙ্কানরা। প্রথম ইনিংসে ২৫৭ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। জবাব দিতে নেমে ৪১৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া। সফরকারীদের চেয়ে ১৫৭ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কানরা ২৩১ রানে অল আউট হয়।
এমন অবস্থায় অজিদের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৭৫ রান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটের বড় জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। টানা দুই টেস্টে হেরে সিরিজ খুইয়েছে শ্রীলঙ্কা। হোয়াইটওয়াশ হয়ে নিজেদের অ্যাপ্রোচ বদলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ধনঞ্জয়া। লঙ্কান অধিনায়ক মনে করেন, গলের উইকেট স্পিনই রাখা হবে কিনা সেটা নিয়ে নতুন করে তাদের ভাবতে হবে।

ধনঞ্জয়া বলেন, ‘ব্যাটার হিসেবে আমরা কী স্পিন খুব ভালো খেলেছি। এটা (গলের স্পিন উইকেট থাকবে কিনা) আমাদের আবারও ভাবতে হবে। আপনি যদি দেখেন তারা কিভাবে ব্যাটিং করেছে, স্কয়ার অব দ্য উইকেটে তারা অনেক রান করেছে। এরকম উইকেটে ডিফেন্ড করা কঠিন। তারা আমাদের উপর যে চাপ তৈরি করেছে সেটা নিয়ে আমরা নিজেদের মেলে ধরতে পারিনি। আমরা এমন উইকেটে খেলতে থাকব নাকি ব্যাটারদের জন্য মানানসই উইকেটে খেলব এটা আমাদের ভাবতে হবে।’
২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশের মাটিতে ১৯ টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কা। যেখানে ১৫ টেস্টই হয়েছে গলে। যেখানে ৮টি ম্যাচে জয় পেলেও লঙ্কানদের হারতে হয়েছে সাতটিতে। অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানও গলে তাদের হারিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ টেস্টে ৯ উইকেটের হার গলে লঙ্কানদের জন্য সবচেয়ে বড় পরাজয়। গল রেখে দেশের অন্য ভেন্যুতে খেলার পক্ষে ধনঞ্জয়া।
শ্রীলঙ্কার টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘একজন ব্যাটার হিসেবে আমি বাকি ভেন্যুগুলোতে খেলতে পছন্দ করি কারণ সেখানে আমার রেকর্ড ভালো। আপনি যদি আমাদের দেশের ব্যাটারদের গড় দেখেন তাহলে অন্য দেশের ব্যাটারদের চেয়ে কম। আপনি দেখতে পাচ্ছেন সেটা কেন হয়। কারণ আমরা স্পিন সহায়ক উইকেটে খেলি। এরকম উইকেটে অবিশ্বাস্য রেকর্ড করা কঠিন। কিন্তু বোলারদেরও ভালো পিচে উইকেট নেয়ার স্কিল থাকতে হবে।’