বিপিএল নিলামের আগে দুজন করে দেশি ক্রিকেটারের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করার সুযোগ পেয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে পেসার হাসান মাহমুদের সঙ্গে সৌম্যকে দলে নেয় নোয়াখালী এক্সপ্রেস। জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) শেষে বিপিএলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। তবে আচমকা পারিবারিক কারণে দেশের বাইরে যেতে হয়ে তাকে।
এমন অবস্থায় শোনা যায়, ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিপিএলের প্রথম পর্ব মিস করবেন সৌম্য। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমন খবরের কোন ভিত্তি নেই। বরং বিপিএল শুরুর আগেই দেশে ফিরে নোয়াখালী দলের সঙ্গে যোগ দেবেন সৌম্য। বিষয়টি একটু পর আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে নোয়াখালী।
যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে বিশ্বস্ত একটি সূত্র ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বলেন, ‘হ্যাঁ, পারিবারিক কারণে সৌম্য সরকার দেশের বাইরে গেছেন। বিষয়টা সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। বিপিএল শুরুর আগেই উনি দেশে ফিরবেন এবং দলের সঙ্গে যোগ দেবেন— এ নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে।’
নিলাম শেষেই খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছিলেন, নোয়াখালীর অধিনায়ক হিসেবে সৌম্যকে পছন্দ তাঁর। অধিনায়কত্ব করার খুব বেশি অভিজ্ঞতা না থাকলেও বিপিএলে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে সৌম্যর কাছে অধিনায়কত্বের আগে নিজের সেরা খেলাটা নিশ্চিত করা বেশি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। কেবলমাত্র ব্যাটিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেই কেবল অধিনায়ক হতে রাজি আছেন তিনি।
ক্রিকফ্রেঞ্জিকে সৌম্য বলেন, ‘অধিনায়কত্ব করার তো অবশ্যই ইচ্ছে আছে। এখনো তাদের সঙ্গে কথা হয়নি। হ্যাঁ, অধিনায়কত্ব কে না করতে চাই। অবশ্যই সবাই করতে চায়। যদি মনে হয় অধিনায়কত্ব নিলে নিজের উপর চাপ হবে না বা আমি যেভাবে খেলি ওইভাবে খেলে অধিনায়কত্ব করা আমার জন্য চাপের হবে কিনা—এগুলো একটা জিনিস। আবার দলেরও দল চালানোর একটা ব্যাপার থাকে। ধরুন, আমি একটা দলকে চালাবো, তারা সেই জিনিসটা কীভাবে নেবে, এটাও একটা জিনিস। আমি চাইবো নিজে ফ্রিলি খেলার জন্য— এটা হচ্ছে প্রথম অগ্রাধিকার।’