সংযুক্ত আরব আমিরাতে আবুধাবি নাইট রাইডার্সের জার্সিতে খেলার সময় বিশ্বের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ৫০০ উইকেটের দেখা পেলেন ডানহাতি এই পেসার। রাসেলের আগে এমন কীর্তি আছে রশিদ খান (৬৮১), ডোয়াইন ব্রাভো (৬৩১), সুনীল নারিন (৬০২), ইমরান তাহির (৫৭০) এবং সাকিব আল হাসানের (৫০৪)। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও দুর্দান্ত রাসেল।
২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া ডানহাতি ব্যাটার ৫৭৬ ম্যাচের ৪৯৬ ইনিংসে ১৬৮.২৪ স্ট্রাইক রেটে ৯ হাজার ৪৯৬ রান করেছেন। রাসেলের চেয়ে বেশি রান করেছেন আরও ২৪ ব্যাটার। সবচেয়ে বেশি ১৪ হাজার ৫৬২ রান নিয়ে সবার উপরে আছেন তাঁরই স্বদেশী ক্রিস গেইল। দুইয়ে আরেক ক্যারিবিয়ান কাইরন পোলার্ড। ৭২১ টি-টোয়েন্টিতে ১৪ হাজার ২৮৭ রান করেছেন।
দুনিয়ার ১২৬ জন ব্যাটার ৫ হাজার কিংবা তার চেয়ে বেশি রান করেছেন। উইকেট নেয়া, ব্যাট হাতে রান করার পাশাপাশি বড় বড় সব ছক্কা মারায় পারদর্শী রাসেল। ৫৭৬ ম্যাচে ৭৭২টি ছক্কা মেরেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৩৭ বছর বয়সি অলরাউন্ডারের চেয়ে বেশি ছক্কা আছে কেবল গেইল ও পোলার্ডের। মারকুটে গেইল ১ হাজার ৫৬ এবং পোলার্ড মেরেছেন ৯৭০ ছক্কা।
বিশ্বের মাত্র ১০ জন ব্যাটার ৫০০ কিংবা তার চেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন। তিন ক্যাটাগরিতেই সবার সঙ্গে থাকলেও একটি জায়গায় রাসেল অনন্য। দুনিয়ার একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে ৫ হাজার রানের পাশাপাশি ৫০০ উইকেট ও ৫০০ ছক্কা মেরেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অলরাউন্ডার। একমাত্র সাকিব ও ব্রাভোর কেবল ৫ হাজারের রানের সঙ্গে ৫০০ উইকেট আছে। তবে তাদের দুজনের কেউই ৫০০ ছক্কা মারতে পারেননি।
৫৮২ ম্যাচে ৬ হাজার ৯৭০ রান করলেও অলরাউন্ডার ব্রাভো ছক্কা মেরেছেন ৩৩৫টি। সাকিব পিছিয়ে আছেন আরও খানিকটা। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার ৪৬২ ম্যাচে ৭ হাজার ৬৯০ রান করেছেন। যেখানে বাঁহাতি ব্যাটার ছক্কা মেরেছেন ২২২টি। ব্রাভো অবসর নিয়েছেন আগেই। সাকিব এখনো খেললেও ছক্কায় রাসেলকে ছোঁয়া প্রায় অসম্ভব।