মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ ছিলেন ৩৫ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে, আর মুমিনুল ছিলেন ২২ লাখ টাকার ‘সি’ ক্যাটাগরিতে। তিনজনকেই শেষ পর্যন্ত ভিত্তিমূল্যেই দলে ভিড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
প্রথম ডাকে না পাওয়া ক্রিকেটারদের ক্যাটাগরি নামিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চালু ছিল। তবে রংপুর রাইডার্সের প্রতিনিধি ও বিসিবি পরিচালক ইশতিয়াক সাদেক জানান, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর মতো সিনিয়রদের সম্মান রাখতে তাদের ক্যাটাগরি যেন কমানো না হয়। নিলাম কমিটিও সেই প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করে।
পরবর্তী পর্যায়ে রংপুর রাইডার্স নেয় মাহমুদউল্লাহকে, রাজশাহী ওয়ারিয়র্স দলে ভেড়ায় মুশফিককে এবং মুমিনুলকে নেয় সিলেট টাইটান্স। ছয় মৌসুম পর আবার রাজশাহীতে ফিরলেন বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক মুশফিক; অন্যদিকে লিগের ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান করা মাহমুদউল্লাহ প্রথমবার খেলবেন রংপুরে।
প্রথম ডাকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আগ্রহ না থাকায় তিন অভিজ্ঞ ব্যাটারই অপেক্ষায় ছিলেন। মুশফিক সামাজিক মাধ্যমে কিছু মন্তব্যও করেছিলেন। তবে নিলামের শেষ দিকে তারা সবাই দল পাওয়ায় আর হতাশা পিছু নেয়নি।
নিলামে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা দল পাওয়া প্রসঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, 'আমার মনে হয় খুবই ভালো ডিসিশন এবং ওই রেস্পেক্ট অবশ্যই দেওয়া উচিত এবং বিসিবি এবং আমি রংপুর টিমের নামটা মেনশন করতে চাই কারণ এই মেসেজটা প্রথমে রংপুর টিম থেকে এসেছিল। সো অবশ্যই থ্যাঙ্কস ফর যোগ্য রংপুর টিম। বাট আমার মনে হয় খুবই ভালো ডিসিশন।'
'আমাদের এত বড় খেলোয়াড় এবং এত বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সার্ভিস দিয়েছেন। আমাদের অবশ্যই ইচ্ছা ছিল প্রত্যেকটা টিম ম্যানেজমেন্ট কোচ ওনার সবার ডিসিশনেই কিন্তু আমরা মুশফিক ভাইকে নিয়েছি দলে এবং খুবই ইম্পর্টেন্ট একজন খেলোয়াড় এবং আমি মনে করি যে আমাদের দলে খুবই ইম্পর্টেন্ট একটা রোল প্লে করবেন।'