মাঝের সময়টায় গড়িমসি করলেও নিলামের একদিন আগে চূড়ান্ত তালিকা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে এনামুল হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আলাউদ্দিন বাবু, সানজামুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, নিহাদ উজ জামান ও শফিউল ইসলামকে। পরবর্তীতে বিবৃতিতে দিয়ে বিসিবি জানিয়েছে, অভিযোগ থাকার কারণেই তাদের রাখা হয়নি। তবে তালিকা থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটারদের এখনই দোষী বলতে নিষেধ করছেন ইফতেখার রহমান মিঠু।
দুপুর নাগাদ নিলাম থেকে নাম বাদ পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিসিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন বিজয়, মোসাদ্দেকরা। যদিও তাদের ফোন রিসিভ করেননি কেউ! এমন অভিযোগই করেছেন বেশিরভাগ ক্রিকেটাররা। বিসিবি কর্তাদের ফোনে না পেয়ে ২৯ নভেম্বর রাতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুকে পেইজে লাইভ করেছেন বিজয়। যেখানে তিনি বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন।
লাইভ করার কারণ ব্যাখ্যা করে বিজয় বলেন, ‘প্রথমত আমি কিন্তু এই লাইভটা করতাম যদি বিসিবিকে ফোনে পেতাম। আমি মেইলের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি...। যদি তারা রেসপন্স করতো তাহলে হয়ত এই লাইভটা করতে হতো না।’
ম্যাচে অনিয়মের অভিযোগের কারণে তাদের ‘রেড ফ্ল্যাগ জোনে’ রাখা হলেও অভিযোগ এখনো প্রমাণিত না হওয়ায় বিজয় কিংবা অন্যান্য ক্রিকেটারদের দোষী বলার সুযোগ নেই। তবে হুট করেই ‘সন্দেহভাজন’ থেকেই নিলামের তালিকা থেকে বাদ দেয়াটা ভালোভাবে নিতে পারেননি বিজয়। এনসিএলের ম্যাচ খেলা বাদ দিয়ে খুলনা থেকে ঢাকা ফিরেছেন তিনি। ভিডিওর একটি অংশ বিসিবির কাছে প্রমাণ চেয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। পাশাপাশি বিজয়ের চাওয়া, দোষী হলে তাকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে দেয়া হোক।
এ প্রসঙ্গে বিজয় বলেন, ‘আমার প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে আজকে নিউজের পর থেকে আমি ড্রাফট (নিলাম) থেকে বাদ হলাম এটার কারণটা কী? আমি কী দোষী? আমি যদি দোষী হয়ে থাকি আমি প্রমাণটা চাই। সারা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ হয়ে বিসিবি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কাছে বলতে চাই... আমি যদি দোষী হয়ে থাকি আমাকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে দেন। আমি তো অনেকের কাছে পছন্দের খেলোয়াড় না, অনেকের কাছে ভালো সতীর্থও না। হয়ত অনেকের কাছে ভালো খেলোয়াড়ও না। তাহলে ঠিক আছে আমার আর খেলা লাগবে না। যদি দোষী হয়ে থাকি তাহলে আমার আর খেলা লাগবে না।’
যদি দোষী প্রমাণিত না হউন তাহলে এখন যে সম্মানহানি হচ্ছে সেটা ফেরত দেয়ার আবদার করেছেন বিজয়। তিনি বলেন, ‘আমি এভাবেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে চাই আপনাদের কাছে আসলে সমাধানটা কী হবে। এটাই আমার পয়েন্ট। গত বছর যা হয়েছে তা তো হয়েছেই। আপনার কাছে যদি কোনো প্রমাণ থাকে আমাকে নিষিদ্ধ করে দেন। আমি খুশি মনে মেনে নিব। সারা বাংলাদেশের মানুষ জানুক আমি খারাপ, আমি অপরাধী, আমি ভালো মানুষ না। আর যদি না হয় তাহলে আমার এই সম্মান আপনাকে ফেরত দিতে হবে। আমার মানহানি যে হচ্ছে সেটা আপনাকে ফেরত দিতে হবে।’
