সেই তালিকায় এনামুল হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আলাউদ্দিন বাবু, সানজামুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, নিহাদ উজ জামানের পাশাপাশি শফিউল ইসলামের নামও বাদ দেয়া হয়েছে। যদিও বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি ঠিক কী কারণে তাদের বাদ দেয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থাকার কারণেই তাদের রাখেনি বিসিবি। তবে তাদের এমন কাণ্ড অবাক হয়েছেন শফিউল। সেই সাথে বিসিবির কাছে প্রমাণ পেয়েছেন এক সময় জাতীয় দলের হয়ে খেলা এই পেসার।
এ প্রসঙ্গে ক্রিকফ্রেঞ্জিকে শফিউল বলেন, ‘আমার সাথে কোনো কথা বলে নাই, আমি অন্য কারও কথা জানি না। আসলে ক্রিকেট খেলারও ইচ্ছে নাই, এরকম নোংরা জায়গায় খেলার ইচ্ছেও নাই। অনেক কিছু দেখলাম, এমনিতে নিজেকে আস্তে আস্তে গুটিয়ে নিচ্ছি। সত্যি কথা বলতে আমাদের দেশে কথা বলে লাভ নাই। আসলে মাথা ধরে না... ওই বড় বোয়ালগুলো ধরে না, ছোট ছোট যারা পুঁটি মাছ আছে তাদের নিয়ে ব্যস্ত থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যদি অভিযুক্ত হই আমাকে প্রমাণ দেখাক, আমার কথা হচ্ছে এটা। দেশের হয়ে খেলছি, অনেক দিছি। দুঃখের জায়গায় এখানে অনেক কিছুই সহ্য করে আসছি, এখনো সহ্য করতে হচ্ছে। আমি আসলে বেশি.... করতে চাই না, যা ভাবার ভাবুক। এইসব জায়গা থেকে মনে উঠে গেছে।’
বিপিএলের সবশেষ আসরে দুর্বার রাজশাহীর হয়ে খেলেছেন শফিউল। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে ৬ ম্যাচ খেলে মাত্র চারটি উইকেট নিয়েছিলেন ডানহাতি এই পেসার। বেশ কিছু ম্যাচে অপ্রত্যাশিত কিছু পারফরম্যান্সও করতে দেখা গেছে তাকে। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৬২ রান নিয়ে এক উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ঢাকার বিপক্ষে আরেকটি ম্যাচে দিয়েছিলেন ৪৫ রান। চিটাগং কিংসের বিপক্ষেও দিয়েছিলেন ৪৬ রান। প্রমাণ দিতে পারলে শাস্তি মেনে নেবেন শফিউল। বিসিবি যদি প্রমাণ দিতে না পারে তাহলে পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
শফিউল বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কোনো প্রমাণ ছাড়া এরকম অভিযুক্ত করে তাহলে অবশ্যই একটা পদক্ষেপ নিব। এতদিন ধরে ক্রিকেট খেলছি অবশ্যই একটা মান সম্মানের বিষয় আছে। যদি সঠিক প্রমাণ দেখাতে পারে তাহলে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি যদি দোষ করে থাকি অবশ্যই শাস্তি পাব। একটা সিজন খারাপ গেছে এজন্য সন্দেহের তালিকায় আসছি। আমি আমার দিক থেকে পদক্ষেপ নিব।’
