নিলামের আগে প্রতিটি দল সরাসরি চুক্তিতে দুজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারকে নিতে পারবে। সেই সুযোগটা বেশ ভালোভাবেই নিচ্ছে তারা। মালিকানা পেতেই সবার আগে মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাসুম আহমেদের সঙ্গে চুক্তি সেরেছে প্রথমবারের মতো বিপিএলে অংশ নিতে যাওয়া সিলেট টাইটান্স। তাদের মতো অন্যরাও খুব বেশি পিছিয়ে সেই। সিলেটের পছন্দ স্পিনার হলেও ঢাকা ক্যাপিটালস খানিকটা সমন্বয় করেছে।
গত আসরে দুর্বার রাজশাহীর হয়ে বোলিং বাজিমাত করা তাসকিন আহমেদকে সরাসরি চুক্তিতে দলে টেনেছে ঢাকা। একই দলের সঙ্গে খেলতে দেখা যাবে দারুণ ছন্দে থাকা ওপেনার সাইফ হাসানকে। প্রথমবার বিপিএলে আসা রাজশাহী ওয়ারিয়র্স তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্তকে বেছে নিয়েছে। বাঁহাতি ব্যাটার শান্তকে দেখা যেতে পারে পদ্মাপাড়ের দলটির নেতৃত্বেও।
চিটাগং কিংস না থাকায় চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা পেয়েছে ট্রায়োঙ্গেল লিমিটেড। চট্টগ্রাম রয়্যালস দুই দেশি ক্রিকেটার হিসেবে দেখা যেতে শেখ মেহেদী ও তানভির ইসলামকে। বিপিএলের বেশিরভাগ আসরেই স্পিন বোলিংয়ে বাজিমাত করেন তারা দুজন। ঢাকা কিংবা সিলেটের উইকেটের কথা মাথায় রেখেই তাদের দুজনকে দলে টেনেছে বন্দরনগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
বিপিএলের সবশেষ কয়েক আসরের সবশেষ পেশাদার ফ্র্যাঞ্চাইজি রংপুর রাইডার্স। বিপিএল কিংবা গ্লোবাল সুপার লিগ, সব জায়গায় তাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। ডানহাতি উইকেটকিপার ব্যাটারকে আগামী মৌসুমেও রংপুরের নেতৃত্বে দেখা যাবে। সোহানের পাশাপাশি বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকেও দলে টেনেছে ২০১৭ সালের বিপিএলে চ্যাম্পিয়নরা।
নিলামের আগে ১০ ক্রিকেটার দল পেলেও সেই তালিকায় নেই লিটন দাস, তানজিম হাসান সাকিব, জাকের আলী, শরিফুল ইসলাম, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, নাহিদ রানা, সৌম্য সরকারের মতো ক্রিকেটাররা। দল পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। সেদিন রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বিকেলে তিনটা নাগাদ নিলাম শুরু হবে। নিলাম পরিচালনার জন্য বিদেশি কাউকে আনার চেষ্টা করছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
বিপিএলে এখনো পর্যন্ত দল পেলেন যারা (বাংলাদেশি):
রংপুর রাইডার্স— নুরুল হাসান সোহান, মুস্তাফিজুর রহমান
সিলেট টাইটান্স— মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ
ঢাকা ক্যাপিটালস— তাসকিন আহমেদ, সাইফ হাসান
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স— তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত
চট্টগ্রাম রয়্যালস— শেখ মেহেদী, তানভির ইসলাম