বাংলাদেশের হয়ে ১৭ টেস্ট এবং ২০ ওয়ানডে খেলেছেন হান্নান। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ২০১০ সালে বিসিবির লেভেল-ওয়ান এবং পরবর্তীতে লেভেল-টু কোচিং কোর্স করেন তিনি। কোচিং কোর্স করানোর পর কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু করেন তিনি। বিপিএলের প্রথম দুই আসরে দুরন্ত রাজশাহীর সহকারী কোচের দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক এই ব্যাটার। দুই মৌসুম পর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি বিপিএলে আর অংশ নেয়নি।
পরবর্তীতে রাজশাহী কিংসেও সহকারী কোচ ছিলেন হান্নান। এ ছাড়া ডিপিএলে আবাহনী ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ব্যাটিং কোচও ছিলেন। এ ছাড়া এনসিএল ও বিসিএলেও কাজ করেছেন কোচ হিসেবে। কোচিংয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৪ সালের মার্চে হান্নান যোগ দেন জাতীয় নির্বাচক প্যানেলে। যদিও খুব বেশিদিন সেই দায়িত্বে থাকেননি।
২০২৫ সালে নির্বাচকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে ডিপিএলে আবাহনীর প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন তিনি। মূলত কোচিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তেই এমন সিদ্ধান্ত নেন হান্নান। আকাশি-নীলদের চ্যাম্পিয়ন করে আগামী ডিপিএলের জন্য যোগ দেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে। কদিন আগে অনূর্ধ্ব-১৭ দলের প্রধান কোচের দায়িত্বেও ছিলেন হান্নান। লম্বা সময় পর আবারও বিপিএলে ফিরলেন তিনি।
মালিকানা পেয়েই দল গোছাতে শুরু করেছে রাজশাহী। হান্নানের পাশাপাশি কোচিং স্টাফে আরও বেশ কয়েকজন দেশি কোচকে দেখা যেতে পারে। এ ছাড়া গুঞ্জন আছে ক্রিকেটার হিসেবে ইতোমধ্যে দুজন ক্রিকেটারের সঙ্গে আলোচনা করেছে তারা। সবকিছু ঠিক থাকলে পাকিস্তানের সাহিবজাদা ফারহান ও শ্রীলঙ্কার বিনুরা ফার্নান্দোকে দেখা যেতে পারে রাজশাহীর জার্সিতে।
রাজশাহীর বাইরে বিপিএলের আগামী পাঁচ আসরের জন্য দল পেয়েছে রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট। যেখানে রংপুরের মালিকানায় দেখা যাবে টগি স্পোর্টসকে। এ ছাড়া ঢাকার চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস (রিমার্ক-হারল্যান), চট্টগ্রামের ট্রায়াঙ্গাল সার্ভিস এবং সিলেটের মালিকানায় দেখা যাবে ক্রিকেট উইথ সামিকে।