এক সময় ঢাকা ডাইনামাইটসের মালিকানায় ছিল বেক্সিমকো। যেখানে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিসিবি পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক প্রতিষ্ঠানটির একজন নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সেই সময়ের আরেক পরিচালক আব্দুল আওয়াল চৌধুরী ২০১৫ সাল থেকেই বরিশাল বুলসের মালিকানায় যুক্ত ছিলেন। আরেক পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ জেমকন গ্রুপের পরিচালক, যারা কিনা খুলনা টাইটান্সের মালিকানায় ছিল। ইনাম এক সময় বিসিবির মার্কেটিং ও কমার্শিয়াল কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এবারের বিপিএলকেও সামনে রেখেও কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি উঠে এসেছে। জানা গেছে বিসিবি পরিচালকদের মধ্যে অনেকেই বিপিএলে দল কেনার আগ্রহ দেখিয়েছেন। বরিশালের ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে আকাশবাড়ি হলিডে, রাজশাহীর জন্য নাবিল গ্রুপ ও নোয়াখালির জন্য বাংলা মার্ক আগ্রহ দেখিয়ে আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই আছেন তিনজন বিসিবি পরিচালক। তবে বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিপিএলের দল পরিচালনায় কেউ যুক্ত থাকলে তাদের বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল থেকে পদত্যাগ করতে হবে। সেই সঙ্গে এই সংক্রান্ত মিটিংয়ে ডাকা হবে না তাদের।
এ প্রসঙ্গে বিসিবি সহ-সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, 'এবার আমাদের পরিচালক মহোদয়দের প্রত্যেকের কাছ থেকে ইনডেমনিটি নেওয়া হবে। আর সত্যি বলতে গেলে, প্রত্যেককে একটি সেলফ-ডিক্লারেশন দিতে হবে—কে কোন দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন, সরাসরি বা পরোক্ষভাবে। যদি দেখা যায় আমাদের গভর্নিং কাউন্সিলের কেউ কোনোভাবে কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত, তাহলে তাকে গভর্নিং কাউন্সিল থেকে পদত্যাগ করতে হবে।'
এর আগে বিসিসিআই সভাপতিরও আইপিএলে দল ছিল সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ইফতেখার রহমান মিঠু। তিনি আশাবাদী এবারের বিপিএলে কোনো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট থাকবে না। বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিশ্চিত করার পরই বোর্ড পরিচালকদের কাছ থেকে লিখিত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, 'আপনি যদি আইপিএলেও দেখেন, আপনি জানতেন যে আইপিএলের একটা টিম ওদের প্রেসিডেন্ট ওন করত। বেসিক্যালি সেলফ ডিক্লারেশন মানে, আমি আপনাদের ডিক্লেয়ার করলাম যে আমি এই টিমের সাথে, সুতরাং উনি যদি ইনভল্ভ হয়, তাহলে গভর্নিং বডির আমরা কেউ কোনো টিমের সাথে ইনভল্ভ থাকতে পারব না। প্লাস ওই রিলেটেড মিটিংয়ে ইনভাইট করা হবে না।'