আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ভারতের সঙ্গে সহ-আয়োজক হিসেবে আছে শ্রীলঙ্কাও। বিশ্বকাপের আগে যাতে ক্রিকেটাররা ঠিকঠাক প্রস্তুতি নিতে পারেন সেজন্য জুলাই-আগষ্ট থেকে সরিয়ে নেয়া হয় এলপিএল। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ২৭ নভেম্বর মাঠে গড়ানোর কথা ছিল টুর্নামেন্টে ষষ্ঠ আসর।
যার ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল ২৩ ডিসেম্বর। এলপিএলের জন্য ভেন্যু হিসেবে কলম্বো, ক্যান্ডি ও ডাম্বুলাকে নিশ্চিত করেছিল এসএলসি। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের মাসখানেক আগে সেটি স্থগিত করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য তিনটি ভেন্যু প্রস্তুত করতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। ওই ভেন্যুগুলোতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ম্যাচ। যার একটি হচ্ছে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম।
বিশ্বকাপের কথা মাথায় বেশ কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছে সংস্কার কাজ। ভেন্যুর মান বাড়াতে স্টেডিয়ামগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন, আধুনিকায়ন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, সম্প্রচারের সক্ষমতা বাড়ানো, মিডিয়া সেন্টারের আসন বৃদ্ধি নিয়ে কাজ করছে তারা। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে কলম্বো স্টেডিয়ামের সংস্কার।
পাকিস্তান ভারতে যেতে রাজী না হওয়ায় নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে শ্রীলঙ্কাকে বেছে নেয় আইসিসি। চলতি বিশ্বকাপের ১১টি ম্যাচ হচ্ছে কলম্বোতে। বিশ্বকাপ শেষ হতেই আবারও সংস্কার কাজ শুরু করবে শ্রীলঙ্কা। আইসিসির গাইডলাইন অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্টেডিয়াম প্রস্তুত করে দিতেই এলপিএল স্থগিত করেছে তারা।
ভিন্ন আরেকটি সময়ে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে চায় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। যদিও টুর্নামেন্টটি কবে অনুষ্ঠিত হবে তা এখনো নিশ্চিত করেনি এসএলসি। এদিকে বিশ্বকাপের আগে এলপিএল খেলার সুযোগ না পাওয়ায় ক্রিকেটারদের প্রস্তুতিতে একটা ঘাটতি পড়তে পারে। এমন অবস্থায় ওই সময়ে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে চায় শ্রীলঙ্কা। প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করছে তারা।