তিনি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটি যদি চায় তবে যোগ দিতে তার কোনো আপত্তি থাকবে না। ভিলিয়ার্স আরও জানিয়েছেন পুরো মৌসুমের জন্য পেশাদারভাবে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আরসিবির সঙ্গে তার সম্পর্ক সেটা এখনও অটুট রয়েছে। তাই ফ্র্যাঞ্চাইজিটির চাওয়া কোনোভাবেই ফেলতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন।
ডি ভিলিয়ার্স আইএএনএসকে বলেন, 'ভবিষ্যতে হয়তো আমি আবারও আইপিএলে যুক্ত হতে পারি ভিন্ন ভূমিকায়। তবে পুরো মৌসুম পেশাদার দায়িত্ব নেয়া সত্যিই কঠিন, আমি মনে করি সেই দিনগুলো শেষ। তবে কখনোই কিছু নিশ্চিত করে বলা যায় না। আমার হৃদয় সবসময় আরসিবির সঙ্গে আছে। তাই ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি মনে করে আমার সময় ও প্রস্তুতি এসেছে, তবে অবশ্যই সেটা হবে আরসিবির সঙ্গেই।'
বেঙ্গালুরুর হয়ে ১৫৭ ম্যাচে ৪ হাজার ৫২২ রান করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। গড় ৪১.১০ এবং স্ট্রাইক রেট ১৫৮.৩৩ — যা সত্যিই অবিশ্বাস্য। এই সময়ে দুটি সেঞ্চুরি ও ৩৭টি ফিফটি করেছেন তিনি। ২০১৬ আইপিএলে তিনি বিরাট কোহলির সঙ্গে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে রেকর্ড ২২৯ রানের জুটি গড়েছিলেন।
যা এখনো আইপিএলের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের রেকর্ড হয়ে আছে। সেই মৌসুমে ভিলিয়ার্স ৬৮৭ রান করেছিলেন এবং রান সংগ্রাহকদের তালিকায় ছিলেন তৃতীয় অবস্থানে। ভিলিয়ার্সের আইপিএলে যাত্রা শুরু হয়েছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে। সেখানে তিন মৌসুমে খেলার পর বেঙ্গালুরুতে পা রাখেন ভিলিয়ার্স।
এরপর থেকেই ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ঘরের ছেলে হয়ে ওঠেন ভিলিয়ার্স। দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলিয়ে আইপিএলে মোট ১৮৪ ম্যাচ খেলেছেন ভিলিয়ার্স, করেছেন ৫ হাজার ১৬২ রান। তার স্ট্রাইক রেট ১৫১.৬৮, ফিফটি ৪০টি আর সেঞ্চুরি ৩টি। ২০২২ সালে ক্রিস গেইলের সঙ্গে বেঙ্গালুরুর দলটির হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন ভিলিয়ার্স।