ব্যাটে-বলে ব্যর্থ সাকিব, কারিমার ঝলকে অ্যান্টিগার প্রথম জয়

ছবি: ফাইল ছবি

ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেলেও সেটা কাজে লাগাতে না পেরে ১৩ বলে ১৩ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। সাকিবের এমন পারফরম্যান্সের দিনেও ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে অ্যান্টিগা। ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৫৩ বলে অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস খেলে অ্যান্টিগার প্রথম জয়ের নায়ক যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটার কারিমা গোরে। নিজেদের ঘরের মাঠে এটি তাদের প্রথম জয়। অ্যান্টিগার পরের ম্যাচ সেন্ট লুসিয়া কিংসের বিপক্ষে, ১৮ আগষ্ট।
টসের পরে বৃষ্টিতে ভেসে গেল সাকিবদের ম্যাচ
১৮ আগস্ট ২৫
নর্থ সাউন্ডে জয়ের জন্য ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় অ্যান্টিগাকে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন রাখিম কর্নওয়াল ও জোয়েল অ্যান্ড্রু। তবে তাদের দুজনের জুটি বড় হতে দেননি ড্যানিয়েল স্যামস। বাঁহাতি এই পেসারের বলে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ১০ রান করা কর্নওয়াল। দ্বিতীয় উইকেটে অ্যান্ড্রু ও কারিমা মিলে জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। শুরুর ধাক্কা সামলে উঠলেও দ্রুত রান তুলতে পারছিলেন না তারা।
২৫ বলে ২৮ রান করা অ্যান্ড্রুকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন জোমেল ওয়ারিকান। বাঁহাতি স্পিনারের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন অ্যান্টিগার উইকেটকিপার ব্যাটার। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে ইতিবাচক শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সাকিব। যদিও পরবর্তীতে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। মুজিব উর রহমানের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে লং অনে পাওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশের এই ব্যাটার।
প্রথম ম্যাচে ১১ রান করা সাকিব বার্বাডোসের বিপক্ষে ১৩ বলে ১৩ রান করে ফিরেছেন, এক চারে। সাকিব ফেরার পর ২৪ বলে ৪৫ রান করতে হতো অ্যান্টিগাকে। এমন সময় স্যামসের এক ওভারে ১৪ রান নিয়ে আসেন ইমাদ ওয়াসিম ও কারিমা। যদিও পরের ওভারে বোলিংয়ে এসেই তাদের জুটি ভাঙেন অ্যাথান বশ। ডানহাতি পেসারের বলে স্ট্রেইট ড্রাইভ করে ডাবল নিতে গিয়ে রান আউট হয়েছেন ইমাদ।

অ্যান্টিগার অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১২ বলে ১৬ রান। একই ওভারে বশকে ছক্কা মেরে ৪৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কারিমা। টানা দুই ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এদিকে পরের বলে আরেকটি ছক্কা মারেন যুক্তরাষ্ট্রের এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাকে সঙ্গ দেয়া ফ্যাবিয়েন অ্যালেন ৬ বলে ১১ রান করেছেন।
ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ সাকিব বোলিংয়ে পেলেন এক ওভার, অ্যান্টিগার হার
১৫ আগস্ট ২৫
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বার্বাডোসের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ব্রেন্ডন কিংয়ের উইকেট হারায় তারা। জেইডন সিলসের অফ স্টাম্পের বাইরের লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে এজ হয়ে স্লিপে কর্নওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৩ রানে। তিনে নামা কাদিম অ্যালিনেকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন ডি কক। যদিও তাদের দুজনের কেউই দ্রুত রান তুলতে পারছিলেন না।
নর্থ সাউন্ডের ধীরগতির উইকেটে খানিকটা ধুঁকছিলেন তারা দুজন। পাওয়ার প্লে শেষে তাদের জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ গাজানফার। ডানহাতি এই স্পিনারের বলে সিলসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২০ বলে ১৩ রান করা অ্যালিনে। চারে নামা শাকিরে প্যারিসও সুবিধা করতে পারেননি। ইমাদের গুড লেংথ ডেলিভারিতে ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানার কাছে সিলসকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ১২ বলে ৬ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
অন্যপ্রান্তে দেখেশুনে খেলে গাজানফারের বলে দুই রান নিয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন ডি কক। ৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া বাঁহাতি এই ওপেনার অবশ্য একটু পরই আউট হয়েছেন। ওবেদ ম্যাককয়ের বলে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় ডিপ স্কয়ার লেগে ফ্যাবিয়েন অ্যালেকে ক্যাচ দিয়েছেন ডি কক। সাউথ আফ্রিকার সাবেক এই ব্যাটার ফেরেন ৪৫ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে। পাঁচে নেমে শুরু থেকেই দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন রভম্যান পাওয়েল। ছক্কা মেরে শুরুটা ভালো করেছিলেন শেরফান রাদারফোর্ড।
যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। সিলসের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে এজ হয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। উইকেটকিপার অ্যান্ড্রু বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নিলে ৭ রানেই ফিরতে হয় রাদারফোর্ডকে। শেষ পর্যন্ত পাওয়েলের ২৪ বলে অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংসে ১৫১ রানের পুঁজি পেয়েছে বার্বাডোস। বোলিংয়ে এক ওভার সুযোগ পেয়েছিলেন সাকিব। যেখানে চার ও ছক্কায় ১৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বার্বাডোস রয়্যালস— ১৫১/৬ (২০ ওভার) (ডি কক ৫৭, পাওয়েল ৫১*; সিলস ২/১৫, ম্যাককয় ২/২৯, সাকিব ০/১৪)
অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকন্স— ১৫২/৪ (১৯.৪ ওভার) (অ্যান্ড্রু ২৮, সাকিব ১৩, কারিমা ৬৪*, ইমাদ ১৬; ওয়ারিকান ১/২০)