বছরান্তর ভেন্যু বাড়িয়ে হোম-অ্যাওয়ে বিপিএলের পথে হাঁটতে চায় বিসিবি

ছবি: বিসিবি

দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট নিয়ে প্রতি বছরই বিসিবিকে সমালোচনা শুনতে হয়। পুরনো বৃত্ত থেকে বেরিয়ে নতুন করে বিপিএলকে ঢেলে সাজাতে আরও একবার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিসিবি। বিপিএলকে বৈশ্বিকভাবে জনপ্রিয় করে তুলতে গোছানো পথেই হাঁটার চেষ্টা করছে মাহবুব আনামের গভর্নিং কাউন্সিল। সারাদেশে বিপিএল ছড়িয়ে দিতে ভেন্যু বাড়ানোর বিকল্প নেই বিসিবির হাতে। পূর্বে বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রায়শই বলা হয়েছে চাইলেই হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব নয়।
২৭ নভেম্বর শুরু হচ্ছে এলপিএল
২২ ঘন্টা আগে
যদিও সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে চায় বিসিবির বর্তমান প্যানেল। সবার চাওয়ার প্রেক্ষিতিতে আগামী মৌসুমে একটি ভেন্যু যুক্ত করার কথা জানিয়েছে তারা। নতুন ভেন্যু হিসেবে যুক্ত হওয়ার আলোচনায় আছে বরিশাল ও রাজশাহী স্টেডিয়াম। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম নিয়ে আলোচনা হলেও সেটার সম্ভাবনা ক্ষীণই। নাজমুল আবেদিনের কথাতেও সেটা স্পষ্ট হয়েছে। ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জানান, ওই স্টেডিয়ামগুলো ঠিক করতে আরও সময় লাগবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের।

এ প্রসঙ্গে ফাহিম বলেন, ‘ওইটা (বগুড়া ও রাজশাহীতে বিপিএল) এখনই বোধহয় সম্ভব হবে না। আমরা সামনের বিপিএলের কথা যদি বলি যে সময় লাগবে ওইগুলো ঠিকঠাক করতে বা আমরা কতদিনে করতে পারব। আমরা মনে হয় না অচিরেই তা সম্ভব হবে। তবে আমাদের চিন্তা ভাবনায় আছে ভবিষ্যতে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ের যে কনসেপ্টটা এটাতে গিয়ে দাঁড়ানো। আমাদের ইচ্ছে আছে এবছরে বিপিএল যদি একটা অতিরিক্ত মাঠে করতে পারি— তিনটা থেকে চারটি ভেন্যু করতে পারি খুবই ভালো হবে। আমরা আশা করছি যে করতে পারব।’
ক্রিকেট অপারেশন্স ছেড়ে এইচপিতে নাফিস
১৬ ঘন্টা আগে
প্রায় প্রতি বছর একটি করে ভেন্যু বাড়িয়ে বিপিএলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় বিসিবি। ফাহিম জানান, ভবিষ্যতে যদি ৬ কিংবা ৭ দলের আলাদা আলাদা ভেন্যু থাকে তাহলে টুর্নামেন্টটি অন্য লেভেলে চলে যাবে। তিনি বলেন, ‘এভাবে সামনের বছর যদি আরও একটা ভেন্যু যুক্ত হয়—একটা সময় গিয়ে যদি আমরা ৬ কিংবা ৭ দল নিয়ে বিপিএল করি ভবিষ্যতে ৬ কিংবা ৭ টা যদি আমাদের ভেন্যু থাকে তাহলে বিপিএল একটা অন্য লেভেলে চলে যেতে পারে।’
সবশেষ কয়েক বছরে নিজেদের তত্ত্বাবধানে বিপিএল আয়োজন করলেও এবার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির হাতে তুলে দিতে চায় বিসিবি। ১০ জুলাই বিপিএল আয়োজনে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের কাছে আগ্রহ জানতে চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় দেশের ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ৫টি প্রতিষ্ঠান, যার চারটিই আবার বিদেশি। তালিকায় সবচেয়ে বড় নাম আইএমজি।
২০০৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) আয়োজনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিপিএলের আয়োজক হতে বেশ আগ্রহীও তারা। পিএসএল আয়োজন করা দ্য আইপিজে গ্রুপও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ৫ প্রতিষ্ঠানের বাকি তিনটি হচ্ছে অ্যাপেক্স স্পোর্টস কনসাল্টিং, রিয়েল ইম্প্যাক্ট অ্যান্ড অ্যাবসলুট লিজেন্ডস স্পোর্টস, মাইন্ড ট্রি লিমিটেড ও ট্রান্সপোর্ট গ্রুপ। কারা বিপিএল আয়োজন করবে এটি আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত করবে বিসিবি।