চিপকে প্রথমবার চেন্নাইকে হারাল হায়দরাবাদ
ছবি: বিসিসিআই

ঝড় তোলার আগেই ড্রেসিং রুমের পথে হাঁটতে হলো হেনরিখ ক্লাসেনকে। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার রান তুলতে না পারলেও রানের খোঁজে থাকা ইশান কিশান ধরলেন হাল। তাকে সঙ্গ দিলেন অনিকেত ভার্মা। হাফ সেঞ্চুরির আগে ইশান ফিরলেন, আউট হয়েছেন অনিকেতও। শেষের দিকে কামিন্দু মেন্ডিস ও নীতিশ কুমার রেড্ডির ব্যাটে জয় পেয়েছে হায়দরাবাদ। ৯ ম্যাচ খেলা প্যাট কামিন্সদের এটি তৃতীয় জয়। বিপরীতে সমান ম্যাচ খেলে চেন্নাই হেরেছে ৭ ম্যাচে।
বোল্ট-চাহারের আগুনে বোলিং, রোহিতের ঝড়ে মুম্বাইয়ের টানা চার জয়
২৩ এপ্রিল ২৫
চিপকের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে অবশ্য ছয়বারের দেখা এবারই প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে তারা। বিপরীতে ৯ ম্যাচ খেলে সাতটিতে হারা চেন্নাই ৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে টেবিলের তলানি। নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো চিপকে টানা ৪ ম্যাচেই হেরেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। সবশেষ ২০০৮ সালের শেষ দুই ম্যাচ ও ২০১০ সালের প্রথম দুই ম্যাচে অর্থাৎ টানা চার ম্যাচে হেরেছিলেন তারা।

জয়ের জন্য ১৫৪ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি হায়দরাবাদের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে খলিল আহমেদের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে আয়ুশ মাহাত্রের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন অভিষেক। আরেক ওপেনার হেডও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পাওয়ার প্লে শেষের আগে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারকে ফেরান আনশুল কাম্বোজ। ডানহাতি পেসারের অফ কাটার ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ১৯ রান করা হেড।
রোহিত-সূর্যকুমারের ঝড়ের সামনে চেন্নাইয়ের আরো একটি হার
২০ এপ্রিল ২৫
ক্লাসেনকে ফিরিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। পরবর্তীতে জুটি গড়ে তোলেন ইশান ও অনিকেত। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা ইশানকে ৪৪ রানে থামিয়েছেন নূর আহমেদ। ১৯ রান করা অনিকেত আউট হয়েছেন নূরের বলেই। পরবর্তীতে হায়দরাবাদের ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ৩২ রানে কামিন্দু ও ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন নীতিশ। চেন্নাইয়ের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন আফগান স্পিনার নূর।
এর আগে টস হেরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় চেন্নাই। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন অভিষিক্ত ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। সাউথ আফ্রিকান ব্যাটারের পাশাপাশি আয়ুশ ৩০, দীপক হুদা ২২ ও জাদেজা ২১ রান করেছেন। হায়দরাবাদের হয়ে ২৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন হার্শাল প্যাটেল। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন কামিন্স ও জয়দেব উনাদকাট।