রিশাদের ২ উইকেটের দিনে লাহোরের হার

ছবি: লাহোরের উইকেট উদযাপন করছেন মুলতানের ক্রিকেটাররা, পিএসএল

২২৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৮৭ রানেই ৪ উইকেট হারায় লাহোর। এরপর ব্যাটিংয়ে আসেন রিশাদ। তবে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। উসামা মীরের বলে মাত্র ২ রান বোল্ড হয়ে যান এই ব্যাটার। ফলে দলীয় ১১১ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় লাহোর। শুরুর এই বিপর্যয় থেকে দলটি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
আইপিএল-পিএসএলের সময় হতে পারে বিপিএল, বাড়তে পারে ভেন্যু
১০ জুলাই ২৫
নিয়মিত বিরতিতে তারা উইকেট হারিয়েছে। শুরুর দিকে ফখর জামান ৩২ রান করে আউট হন। এরপর স্যাম বিলিংস ২৩ বলে ৪৩ রান যোগ করেন। আর শেষদিকে সিকান্দার রাজা ২৫ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার এমন ঝড়ো ব্যাটিংও লাহোরের জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না।
মুলতানের হয়ে একাই ৩ উইকেট নেন উবাইদ শাহ। দুটি করে উইকেট নেন উসামা মীর ও মিচেল ব্রেসওয়েল। একটি করে উইকেট পান ডেভিড উইলি ও জশুয়া লিটল। এ নিয়ে ৪ ম্যাচে দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেয়েছে লাহোর। আর সমান ম্যাচে প্রথম জয়ের মুখ দেখল মুলতান।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মুলতানকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ইয়াসির খান ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। সপ্তম ওভারে রিশাদের ডাক পড়ে বোলিংয়ে। প্রথম ওভারে অবশ্য দলকে উইকেট এনে দিতে পারেননি এই লেগ স্পিনার। প্রথম পাঁচ বলে চারটি সিঙ্গেল নিলেও রিশাদকে শেষ বলে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা হাঁকান ইয়াসির। তাতেই ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইয়াসির। প্রথম ওভারে রিশাদ খরচ করেন ১০ রান।

রিশাদ খরুচে বোলিং না করলে আরো আগেই ম্যাচ শেষ করা যেত: পাইলট
২৩ জুলাই ২৫
রিশাদের পরের ওভারেই অবশ্য রিজওয়ানকে ব্যক্তিগত ৩২ রানে বোল্ড করে লাহোরকে উইকেট নেনে দেন আব্বাস আফ্রিদি। এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন মুলতানের আরেক ব্যাটার উসমান খান। ১২ তম ওভারে আবারও বোলিংয়ে আসেন রিশাদ। সেই ওভারে এক ছক্কাসহ তিনি খরচ করেন ১২ রান।
ইনিংসের ১৪তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে উসমানের উইকেট তুলে নেন রিশাদ। এই স্পিনারের ফ্লাইটেড লেগ ব্রেক বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উসমান ধরা পড়েন শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে থাকা আসিফ আফ্রিদির হাতে। আর তাতেই শেষ হয় উসমানের ২৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। সেই ওভারে মাত্র ৭ রান দেন রিশাদ।
পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে সেঞ্চুরির পথে থাকা ইয়াসিরকে আউট করেছেন সিকান্দার রাজা। জিম্বাবুয়ের এই স্পিনারের বলে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আব্দুল্লাহ শফিকের হাতে ধরা পড়েন মুলতানের এই ব্যাটার। ১৬তম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে এসে এস্টন টার্নারের তোপের মুখে পড়েন রিশাদ। প্রথম বলেই তাকে লং অন দিয়ে ছক্কা মারেন এই অজি ব্যাটার।
পরের বলে মিড অন দিয়ে চার। পরের বলে ডাবল নিয়ে স্ট্রাইক নিজের কাছেই রাখেন টার্নার। চতুর্থ বলে শর্ট ফাইন লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে জামান খানের হাতে ধরা পড়েন ৮ বলে ১৫ রান করা টার্নার। শেষ বলে রিশারকে একটি চার মারেন নতুন ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ। সেই ওভারে উইকেট নিলেও রিশাদের খরচ ১৬ রান। তিনি বোলিং শেষ করেন ৪৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে।
শেষদিকে মিচেল ব্রেসওয়েলকে আউট করেন শাহীন আফ্রিদি। এই ব্যাটার ৯ রান করে ফিরলেও ইফতিখার আহমেদ ১৮ বলে ৪০ রানের ক্যামিও খেলে মুলতানকে ২২৮ রানের পুঁজি এনে দেন। কামরান গুলাম শেষ পর্যন্ত ৩ বলে ৩ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।