লক্ষ্ণৌকে হারিয়ে দিল্লির আটে ছয়

ছবি: বল হাতে ৪ উইকেট নিয়েছেন মুকেশ কুমার, বিসিসিআই

যদিও উইকেট থেকে সুবিধা পেয়ে নিকোলাস পুরান, ডেভিড মিলারদের তেমন কিছু করতে দেননি মুকেশ কুমার, মিচেল স্টার্করা। শেষের দিকে আয়ুশ বাদোনি ২১ বলে ৩৬ রান করতে না পারলে দেড়শ পার করাও কঠিন হতো তাদের জন্য। শিশিরের কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করাটা সহজ হওয়ায় ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়াটা কঠিন হওয়ার কথা ছিল না দিল্লি ক্যাপিটালসের। কারুন নায়ার শুরু ফিরলেও তাই খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি তাদের।
‘এটা আমার মাঠ, যে কারো থেকে বেশি চিনি’
১১ এপ্রিল ২৫
দারুণ ছন্দে থাকা অভিষেক পোরেল ৫ চার ও এক ছক্কায় ৩৬ বলে খেললেন ৫১ রানের ইনিংস। বাকি কাজটা সেরেছেন লোকেশ রাহুল ও অক্ষর প্যাটেল। নিজের পুরনো ঘরের মাঠে সমান তিনটি করে ছক্কা ও চারে ৪২ বলে ৫৭ রান করলেন রাহুল। আগের ম্যাচেও ব্যাট হাতে ঝড় তোলা অক্ষর লক্ষ্ণৌর ম্যাচে খেললেন ২০ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস। তাদের ব্যাটেই ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে দিল্লি।

আইপিএলের চলতি আসরে লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। পাশাপাশি টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত দারুণ ছন্দে থাকা দিল্লি ৮ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ৬ ম্যাচে। গুজরাট টাইটান্সের সমান ১২ পয়েন্ট হলেও নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় দিল্লির অবস্থান টেবিলের দুইয়ে। সেই সঙ্গে আইপিএলের প্রথম ৮ ম্যাচের ছয়টিতে জয় পেয়েছে এমন মৌসুমের সবকটিতেই সেরা চারে খেলার অভিজ্ঞতা আছে দিল্লির।
বাটলারের অপরাজিত ৯৭, গুজরাটের ৭ উইকেটের জয়
১৯ এপ্রিল ২৫
জয়ের জন্য ১৫৯ রান তাড়ায় দিল্লিকে ভালো শুরুই এনে দেন নায়ার ও অভিষেক। যদিও তাদের দুজনের জুটি বড় হতে দেননি মার্করাম। ডানহাতি অফ স্পিনারের ব্যাকফুটে গিয়ে ছক্কা মারার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করেন নায়ার। উরুতে লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় ১৫ রানে। দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন অভিষেক ও রাহুল। তাদের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান তোলে দিল্লি।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকা অভিষেক হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৩৩ বলে। তবে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অভিষেক। মার্করামের শর্ট ডেলিভারিতে ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে মিলারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। একটু পর ৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন রাহুল। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ৫৭ রানে। তাকে সঙ্গ দেয়া অক্ষরের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ভালো শুরু পায় লক্ষ্ণৌ। মার্করাম ও মার্শের উদ্বোধনী জুটিতে এসেছে ৮৭ রান। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি মার্করাম ৫২ রানের ইনিংস খেলে ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। পরবর্তীতে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি পুরান, আব্দুল সামাদরা। শেষের দিকে মিলার ১৪ ও বাদোনি ৩৬ রান করে লক্ষ্ণৌকে ১৫৯ রানের পুঁজি এনে দেন। দিল্লির হয়ে ৩৩ রানে ৪ উইকেট নেন মুকেশ।