ছিটকে গেলেন উমরান, ‘নেট বোলার’ থেকে স্কোয়াডে সাকারিয়া

ছবি: উমরান মালিক (বামে), চেতন সাকারিয়া (ডানে), ফাইল ফটো

আইপিএলের গত চার আসরে উমরান সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেন উমরান। ২০২২ আসরে নিয়মিত ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করে আলোচনায় আসেন জাম্মু ও কাশ্মীরের এই পেসার। সেই আসরে ২২ উইকেট নিয়ে আসরের উদীয়মান ক্রিকেটারের স্বীকৃতি পান তিনি।
৪ কোটির সাকারিয়া এখন ২ লাখ রুপির নেট বোলার
১৪ মার্চ ২৫
হায়দরাবাদের হয়ে পরের দুই আসর ভালো কাটেনি উমরানের। ২০২৩ আসরে আট ম্যাচে পাঁচটি উইকেট নেয়া এই পেসার ২০২৪ আসরে মাত্র একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান। হায়দরাবাদ ছেড়ে দিলে গত নভেম্বরের মেগা নিলাম থেকে ৭৫ লাখ রুপিতে তাকে দলে নেয় কলকাতা।
এদিকে ২০২০ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর নেট বোলার হিসেবে আইপিএলের ছায়াতলে এসেছিলেন সাকারিয়া। পরের বছরই অবশ্য ভাগ্যের চাকা ঘরে যায় ২৭ বছর বয়সী এই পেসারের। নিলাম থেকে সাকারিয়াকে ১ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কিনে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। আইপিএলের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নদের হয়ে সেবার ১৪ ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। ৮.১৯ ইকনোমি রেটে নিয়েছিলেন ১৯ উইকেট।

২০২২ সালে অবশ্য রাজস্থান ছেড়ে দিল্লি ক্যাপিটালসে চলে যান বাঁহাতি এই পেসার। ৪ কোটি ২০ লাখ রুপিতে তাকে দলে নয় তারা। দিল্লির হয়ে নিজের প্রথম মৌসুমে অবশ্য তিন ম্যাচের বেশি খেলা হয়নি তার। পরের মৌসুমে খেলেছিলেন মাত্র দুই ম্যাচ।
২০২৪ সালে সাকারিয়াকে মাত্র ৫০ লাখ রুপিতে দলে টেনেছিল কলকাতা। যদিও হার্শিত রানা, মিচেল স্টার্কদের ভিড়ে ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়ে উঠেনি তার। ছন্দহীনতায় আলোচনার বাইরে চলে যাওয়া সাকারিয়া বিপাকে পড়েন চোট নিয়ে। বোলিং আর্ম অর্থাৎ বাঁহাতি কবজিতে চোট পেয়েছিলেন তিনি।
ধারণা করা হচ্ছিল, আর কখনও ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন না বাঁহাতি এই পেসার। তবে ১৩ মাসের লড়াই শেষে আবারও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন সাকারিয়া। মুম্বাইয়ের একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলেছেন তিনি। এমনটা দেখে তাকে দুই লাখ রুপিতে নেট বোলার হিসেবে ডেকে নেয় কলকাতা। এবার উমরানের ইনজুরিতে ম্যাচ খেলার সুযোগ তার সামনে।